বিশ্বে উল্লেখযোগ্য হারে যমজ শিশুর জন্ম বেড়ে গেছে। জন্ম নেওয়া প্রতি ৪২টি শিশুর মধ্যে একটি যমজ। সব মিলিয়ে পুরো বিশ্ব প্রতিবছর প্রায় ১৬ লাখ যমজ শিশু জন্ম নিচ্ছে।
এক গবেষণা নিবন্ধে এ তথ্য উঠে এসেছে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। খবরে বলা হয়েছে, যমজ শিশু জন্মের এই প্রবণতা আগে কখনও দেখা যায়নি। তাই গবেষকদের বিষয়টি চমকে দিয়েছে। এর একটি প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দেওয়া এবং টেস্টটিউবসহ অধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার সহায়তায় সন্তান ধারণ বৃদ্ধি পাওয়াকে।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘হিউম্যান রিপ্রোডাকশন’-এ এই গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধটির সহ-লেখক ও যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অধ্যাপক ক্রিস্টিয়ান মনডেন জানান, বিশ্বে যমজ শিশুর সংখ্যা এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে যে গত বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এমনটা আর দেখা যায়নি। যেকোনো সময়ের তুলনায় এ সংখ্যা সর্বোচ্চ।
গবেষকরা জানান, চিকিৎসা ব্যবস্থার সহায়তায় প্রজনন বেড়ে যাওয়ায় যমজ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনাও বেড়েছে। ১৯৭০-এর দশকে উন্নত দেশগুলোতে চিকিৎসার সহায়তায় প্রজনন প্রযুক্তির (এআরটি) ব্যবহার বৃদ্ধি পায়। এতে বেশি বয়সেও মায়েরা শিশু জন্ম দিতে সক্ষম, যাতে যমজের সংখ্যার হার বেশি। গর্ভনিরোধের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া, নারীদের বেশি বয়সে সন্তান নেওয়াও একটি অন্যতম কারণ।
১৩৫টি দেশ থেকে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করে এ গবেষণা চালানো হয়।
গবেষকেরা জানান, আফ্রিকাতে যমজ শিশুর হার সবচেয়ে বেশি। এর পেছনে কাজ করছে মহাদেশটির সাথে বাকি বিশ্বের ‘জিনগত পার্থক্য’। এই কারণে এ অঞ্চলে যমজ শিশুর জন্ম আগে থেকেই বেশি ছিল।
অধ্যাপক মনডেন জানান, শিশুদের মধ্যে যমজ শিশুর মৃত্যুহারও বেশি। গর্ভধারণের সময়, জন্ম নেওয়ার আগে–পরে মা ও শিশুর জন্য জটিল পরিস্থিতি তৈরি করে।
আনন্দবাজার/টি এস পি