বয়স হলেই চুল পাঁকে এবং ত্বকে পড়ে বলিরেখা। তবে এমন অনেকেই আছেন যাদের অকালেই চুল পেঁকে যায়। যা মোটেও কাম্য নয়। তবে কিছু সচেতনতাবোধই দূরে রাখবে অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে।
চুল পেঁকে যাওয়া রোধে করণীয় :
– বেশি বেশি মৌসুমী ফল, শাক সবজি নিয়মিত খেতে হবে। সবুজ, হলুদ ফলের মধ্যে উচ্চমাত্রায় এ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে, যা তারুণ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
– ধর্ম, কর্ম, ইতিবাচক চিন্তা, সৃজনশীল কাজ মানুষের মানসিক প্রশান্তি যোগায়। মন ভালো থাকলেই চুল ও ত্বক থাকবে পুষ্টি সমৃদ্ধ।
– নিয়মিত খেতে হবে কাঁচা সবজি ও মৌসুমী ফল। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লিটার পানি দেহের রক্ত পরিষ্কার রাখতে এবং শরীর থেকে রোগ জীবাণু দেহের বাহিরে বের করে দিতে সাহায্য করে।
– ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলস্টেরল বা চর্বির মাত্রা সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
– ফাস্টফুড, অতিমাত্রায় কোমলপানীয়, মাদকদ্রব্য, ধূমপান বর্জন করতে হবে।
– নিয়মিত চুল আঁচড়াতে হবে। এতে চুলের গোড়াতে পুষ্টি সরবরাহ হবে।
– সময় পেলেই হাঁটুন। এতে পুরো দেহের সবগুলো অঙ্গে রক্ত সরবরাহ হবে। ফলে দেহের সব অঙ্গ, ত্বক, চুল ভালো থাকবে।
– সবসময় ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস করতে হবে।
– কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপিসহ কিছু ওষুধের প্রতিক্রিয়ায় চুল পাঁকে। তাই চিকিৎকের পরামর্শ ব্যতীত চুলে কলপ, কেমিক্যাল ব্যবহার করা উচিত নয়।
– মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী এবং মানহীন বিউটি পার্লার থেকে সেবা গ্রহণ না করাই ভালো।
– চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া রূপচর্চার জন্য কোনো ওষুধ খাওয়া অনুচিত।
আনন্দবাজার/টি এস পি