ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রমজানের আগে ভোগ্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ

আগামী রমজানকে সামনে রেখে অতি প্রয়োজনীয় ছয় ভোগ্যপণ্য ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, খেজুর, মসুর ডাল ও পেঁয়াজের মজুদ, সরবরাহ ও এর যৌক্তিক মূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রমজানের আগে যে কোনোভাবে এসব পণ্যের যৌক্তিক মূল্য, সরবরাহ ও মজুদ পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রিপরষদের বৈঠকে আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও অনির্ধারিত আলোচনায় এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (৯ মার্চ) মন্ত্রিসভা বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন, রমজানে প্রয়োজনীয় এই ছয়টি নিত্যপণ্যের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরবরাহ, যৌক্তিক মূল্য ও পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? সরকারি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে? রমজানের জন্য এসব পণ্য সরকারের হাতে এসে পৌঁছাবে ও বাজারে ছাড়া হবে কবে নাগাদ?

এসব প্রশ্নের জবাব এবং সরকার তথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। যে পরিমাণ চাহিদা, সেই তুলনায় মজুত পর্যাপ্ত আছে বলে সরকারপ্রধানকে অবহিত করেছেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রীর দেওয়া ব্যখ্যায় প্রধানমন্ত্রী সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে অপর একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউকে জানিয়েছে ভিন্ন তথ্য।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন, এবারের রমজানে এই ছয়টি পণ্য নিয়ে বাজারে কোনও ধরনের কেলেঙ্কারি বা কোনও ধরনের মনোপলির সংবাদ তিনি শুনতে চান না। রমজানে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে এই ছয়টি পণ্যের সরবরাহ ও মজুদ ঠিক রাখতে ব্যাংক, বীমাসহ অন্য যে কারও সহযোগিতা বা অংশগ্রহণ প্রয়োজন হলে তাদের সংযুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বাজারে মনিটরিং বাড়ানোরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেউ যাতে এসব পণ্য নিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা ও অনৈতিক মুনাফা করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখাসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে মাঠে থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।

সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যেহেতু সামনে রমজান, তাই রামজানে যেসব পণ্যের জরুরি প্রয়োজন হয়- যেমন ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মসুর ডাল, খেজুর ও পেঁয়াজ, এগুলো নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদকে আশ্বস্ত করেছে। তারা জানিয়েছে, আমাদের যে পরিমাণ চাহিদা, সেই তুলনায় মজুত কমফোর্টেবল (পর্যাপ্ত) আছে।

তিনি বলেন, ‘টিসিবি যেটা আমদানি করছে, সেটা রোজার অনেক আগেই দেশে চলে আসবে বলে মন্ত্রিপরিষদকে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। যে ছয়টি পণ্য রোজার সময় বেশি প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না। এবার আমরা একটু কমফোর্টেবল অবস্থায় আছি।’

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন