ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এশিয়ার শেয়ারবাজারে পতন

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য আলোচনার জেরে এশিয়ার শেয়ারবাজারগুলো অনেকটা নিস্তেজ হয়ে পড়ছে । এদিকে নতুন করে বিক্ষোভের কারণে হংকংয়ের বাজারে তীব্র পতন দেখা গেছে ।

বিশ্বের শীর্ষ বৃহৎ অর্থনীতির দুটি দেশ একটি প্রাথমিক চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাবে, এ আশায় গত কয়েক সপ্তাহ ইকুইটি বাজারগুলোতে চাঙ্গাভাব দেখা গেছে। এছাড়াও আলোচনায় অগ্রগতির সুবাদে কিছু শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ, চীনের এমন ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারগুলো আরো চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

কিন্তু চীনের এই ঘোষণার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কিছু বিভ্রান্তিমূলক আভাস উদ্বিগ্ন করে তুলেছে বিনিয়োগকারীদের। তাছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছানোর কথা অস্বীকার করেছেন।

এমনকি হোয়াইট হাউজের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো জানান, ডিসেম্বর থেকে চীনা পণ্যের ওপর যে শুল্কারোপ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে, ট্রাম্প তা মুলতবি করতে পারেন। তার এ মন্তব্যের পর ওয়াল স্ট্রিটের অন্যতম দুটি সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ও ডাও জোন্স রেকর্ড সর্বোচ্চে দিন শেষ করে।

কিন্তু এশীয় বিনিয়োগকারীরা জয়ের এই ধারা বজায় রাখতে পারেননি। গতকাল মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই টোকিও দশমিক ২ ও সিঙ্গাপুর দশমিক ৪ শতাংশ হারায়। এছাড়া সিউল, তাইপে ও ম্যানিলায়ও পতন দেখা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক দশমিক ৪৬ শতাংশ হারায়।

মূল ভূখণ্ড চীনের বাজারগুলোতেও পতন দেখা গেছে। এর মধ্যে সাংহাই কম্পোজিট ১ দশমিক ২২ ও শেনঝেন কম্পোজিট ১ দশমিক ৬১ শতাংশ হারায়। শেনঝেন কম্পোনেন্ট সূচক হারায় ১ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

কিন্তু শুল্ক প্রত্যাহার করা হলেও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা বহাল থাকবে বলে মনে করছেন তারা। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলেন, শুল্ক বাতিল হলেও বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে বিনিয়োগসংক্রান্ত ও আর্থিক বিরোধ অব্যাহত থাকারই আশঙ্কা রয়েছে।

মুদ্রাবাজারের ক্ষেত্রে গতকাল ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের মান অপরিবর্তিত থাকতে দেখা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন