শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলুপ্তির পথে লাঙ্গল দিয়ে হালচাষ পদ্ধতি

হারিয়ে যাচ্ছে র্দীঘ দিনের ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ পদ্ধতি যা গরু, মহিষ, লাঙল, জোয়াল দিয়ে জমিতে হালচাষ করা হতো। এই চাষাবাদের সাথে জরিয়ে আছে গ্রাম বাংলার হাজারে কৃষকের হৃদয়ের স্মৃতি। সেই স্মৃতিটি হলো গরু,মহিষ আর লাঙ্গল জোয়াল দিয়ে চাষাবাদ পদ্ধতি।

তবে, র্দীঘ দিন পর আজ ৩ মার্চ (বুধবার) সকালে বাংলাদের সর্বউত্তরের পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার, একটি গ্রামের কৃষক উপেন নামক এক ব্যক্তিকে সেই ঐতিহ্যবাহী লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষের চিত্র দেখাতে পাওয়া যায়, তার সাথে কথা বলেছি, জানিয়েছে আগের দিনের মতো লাঙ্গল দিয়ে হাল চাষাবাদ করা হয় না, এখন তো ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার এগুলো দিয়ে চাষ করা হয়, তাই গরুর হালের মুল্য নাই।

কৃষি প্রধান দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ এদেশে প্রায় শতকরা ৮০% মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে কৃষি কাজের সাথে জরিত। লাঙ্গল চোয়ালে চাষাবাদ পন্ধতি হাজার বছরের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বাংলার বৈচিত্র্য অনুসন্ধান করতে গেলে কৃষি বিভিন্ন উপকরনের মধ্যে অবশ্যই লাঙল চোয়াল অন্যতম একটি।

প্রযুক্তি আবির্ভাব কারণে সঙ্গে সঙ্গে হাল চাষের পরিবর্তনে এখন ট্রাক্টর অথবা পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করা হয়। এক সময় বাংলাদেশর বিভিন্ন জেলায় কৃষক শ্রেণি মানুষ গরু পালন করত এবং গরু, মহিষ দিয়ে হাল চাষাবাদ করত।

কিন্তু কালের বিবর্তনে সভ্যতার অগ্রযাত্রা কারণে আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যটি। বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে লাঙল দিয়ে জমি চাষ এখন আর চোখে পড়ে না। আধুনিকতা কারণে ঐতিহ্যবাহী চাষাবাদ পদ্ধতি প্রায় বিলুপ্তি পথে।

আরও পড়ুনঃ  বড় উত্থানের পথে পুঁজিবাজার

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সেই কাক ডাকা ভোরে কৃষকরা গরু, মহিষ নিয়ে এবং কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে বেরিয়ে পড়তো মাঠের জমিতে হালচাষ করার জন্য। বর্তমানে আধুনিকতার স্পর্শে ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে কৃষকদের জীবনে এসেছে নানা পরিবর্তন। আর সেই পরিবর্তনের ছোঁয়াও লেগেছে কৃষিতে। তাই সকালে কাঁধে লাঙল-জোয়াল নিয়ে মাঠে যেতে আর দেখা যায় না কৃষকদের।

আনন্দবাজার/শাহী/শহীদুল

সংবাদটি শেয়ার করুন