চীনের সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানি মেলা। ১৫৫ টি দেশ ও ২৬ টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে নিয়ে আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী এই মেলা শেষ হয় গত রোববার।
এই মেলা আয়োজন করা হয়েছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের উপর। মেলায় মোট সাত ভাগে দেড়শ’রও বেশি দেশের প্রায় চার হাজার প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল। এসব স্টলের পণ্যের মধ্যে নিত্যনতুন তৈরি পোশাক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য-সেবা, চিকিৎসা সামগ্রী ও অত্যাধুনিক অটোমোবাইল প্রযুক্তি উল্লেখযোগ্য।
নিজস্ব আমদানি বাজার বড় করার লক্ষ্যে ২০১৮ সাল থেকে তাদের বাণিজ্য শহর সাংহাইয়ে এই মেলার আয়োজন করে আসছে চীন। তাদের বৃহত্তম আমদানি-রপ্তানি মেলা ক্যান্টন ফেয়ারের পর নানা দেশের বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ীদের কাছে এই মেলা এখন বিশেষ গুরত্ব পাচ্ছে।
এই মেলায় বাংলাদেশের নয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অংশ নেয়। এছাড়া বাংলাদেশি বেশ কিছু উদ্যেক্তা পাটজাত, কৃষিজাত ও চামড়াজাত পণ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিয়ে বেসরকারি পর্যায় থেকে মেলায় অংশ নেন। উল্লেখ্য, প্রথম আসর থেকেই বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই মেলায় অংশ নিয়ে আসছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক অভিজিৎ চৌধুরি বলেন, এবারের মেলায় বাংলাদেশি প্যাভিলিয়নে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে অনেক চীনা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত আগ্রহ দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের রপ্তানি বাণিজ্যে বাড়তি কিছু যোগ হবে, পাশাপাশি দু-দেশের সম্পর্কেও তৈরি হবে নতুন মাত্রা।
মেলার উদ্বোধনী ফোরামে বাংলাদেশের পক্ষে সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক (টেক্সটাইল) মো. সামসুউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে অংশগ্রহণ করে।
বেসরকারি পর্যায়ে অংশ নেওয়া অন্যান্য বাংলাদেশি স্টলেও ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে জানিয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস