বরগুনার তালতলীতে ৫০০ টাকায় মিলছে করোনার সনদ নেগেটিভ রিপোর্ট এমন অভিযোগ উঠছে নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাজারের কম্পিউটার দোকানদার ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কোনো ধরনের দৃশ্যমান উপসর্গ না থাকলেও নমুনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নেগেটিভ রেজাল্ট দিয়ে থাকে। উপজেলার বিভিন্ন জায়গার কম্পিউটার এর দোকানে গিয়ে এসব করোনার সনদ পজেটিভ নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়ে থাকে। করোনার ভুয়া টেস্টের সনদে চাকরি মিলে তালতলীর চায়না তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনো প্রকার যাচাই-বাচাই ছাড়া।চাকরি বাঁচাতে বা অন্য প্রয়োজনে সরকারি ছুটি ও বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধার জন্য এমন ব্যক্তিরা চান করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।মাত্র ৫০০ টাকায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এমন ফাঁদ পেতে বসেছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের করোনার রিপোর্ট স্কান করে বিক্রি করে আসছে।
ভুক্তভোগী মো.আওয়াল হোসেন বলেন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি নেওয়ার জন্য করোনা টেস্টের দরকার হয় কিন্তু আমি না বুঝে পরামর্শ অনুযায়ী চেয়ারম্যান বাজারের ইব্রাহিম শেখ এর কম্পিউটার দোকানে গেলে ৫০০ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কলা কৌশালে করোনা রিপোর্ট বানিয়ে দেয়।
জানা গেছে, এমন অভিযোগ পেয়ে কম্পিউটারের দোকানদার ইব্রাহিম শেখ সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচারণ করে। পরে ৬নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।
কম্পিউটার দোকানদার মো.ইব্রাহিম বলেন,আমার কাছে এলে টাকার বিনিময়ে করোনা টেস্টের রিপোর্ট তৈরি করে দেই।
উপজেলা মেডিকেল অফিসার জনাব ফাইজুর রহমান বলেন, এ বিষয় জানি না তবে কারো সন্দেহ হলে আমাদের এখানে এসে যাচাই-বাচাই করে নিতে পারে। করোনা সনদের মেইন লিস্ট আমাদের কাছে রাখা আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিঃ) জনাব আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কম্পিউটারে দোকানে করোনার রিপোর্ট দেওয়া মূলত প্রতারনা। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/ইব্রাহীম