গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(বশেমুরবিপ্রবি) একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রস্তাবিত বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% ভর্তি কোটা বরাদ্দ ও বাতিলের সিদ্ধান্তে বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি কতৃর্ক এক বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড.মো: কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ড.মো: আবু সালেহর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “গত ১৫/০২/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিল এর ২১ তম সভায় বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% ভর্তি কোটা সংরক্ষিত রাখার প্রস্তাবটি শিক্ষক সমিতির নজরে আসে, যা সমিতিকে হতবাক করে। আমরা মনে করি, এই ধরনের মনগড়া ও অন্যায্য প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণার পরিপন্থী, যা উচ্চ শিক্ষাকে বাধাগ্রস্ত করবে। একইসাথে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমতার সুযােগ বিনষ্ট করার পাশাপাশি শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশকেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। বিষয়টি গুরুত্ব বিবেচনা করে শিক্ষক সমিতি ১৭ তারিখ দুপুরে উপাচার্য মহােদয়ের সাথে জরুরী বৈঠক করে এবং প্রস্তাবিত ২০% কোটা বাতিলের জোর দাবি জানায়।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “উপাচার্য মহােদয় বিষয়টি সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির কাছে বিস্তারিত জানতে চান। আমরা ন্যায্যতার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন, ও শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণে কোটা না রাখার জন্য আমাদের যৌক্তিক ব্যাখ্যা তুলে ধরি। উপাচার্য মহোদয় ২০% কোটা বাতিলের যােক্তিক আপত্তির সাথে একমত পােষণ করেন এবং এরই ধারাবাহিকতায় উপাচার্য মহােদয় কোটা সংশ্লিষ্ট প্রস্তাবটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
শিক্ষক সমিতি জানায়, “আমরা বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি সর্বদা ন্যায্যতার পক্ষে কাজ করব।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের এক সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার জন্য ২০% কোটা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে বাতিল করা হয়।
আনন্দবাজার/শাহী/আকীক