দেশের কৃষি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নওগাঁ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা সাপাহার উপজেলা। এ অঞ্চলে প্রায় সব ধরণের কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গম চাষ। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর সাপাহারে চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার গমচাষীরা। চলতি বছরে গত বছরের ন্যায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গমের ফলন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় গম চাষ হচ্ছে ৪ হাজার ৯ শত ৮০ হেক্টর জমিতে। প্রতি হেক্টরে গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৫৫ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৬মন হারে উৎপাদন হতে পারে। চলতি বছরে সরকারীভাবে আড়াই হাজার কৃষকে পূনর্বাসন ও ৬ শ জন কৃষককে প্রনোদনার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মজিুবর রহমান। তিনি আরো জানান, আবহাওয়ার অবনতি না ঘটলে এ বছরে গত বছরের তুলনায় গমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এলাকার গমচাষীদের সব রকম পরামর্শ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদদপ্তরের পক্ষ থেকে অব্যহত রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে জানা যায়, গমের দানা গুলো পরিপুষ্ট ও বড়ো আকারের তৈরী করনের লক্ষ্যে জিংক গ্রুপের কীটনাশক ব্যাবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও জমিতে সেচ প্রদান সহ উড়ানী পোকার আক্রমন রক্ষার্থে পরিচর্যা চালিয়ে যাচ্ছেন গমচাষীরা।
এলাকার একাধিক গমচাষী জানান,বুকভরা আশা নিয়ে গমের পরিচর্যা করছেন গমচাষীরা। এ অঞ্চলে গত বছরে গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছরে ঝড় বৃষ্টি না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গত বছরের ন্যায় গমের বাম্পার ফলন হতে পারে।
চলতি মৌসুমে আবহাওয়ার অবনতি না হলে এবং ঝড় বৃষ্টি না হলে এ উপজেলায় গমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন এলাকার গম চাষীরা।
আনন্দবাজার/শাহী/অনিক