ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি অর্থ পাইয়ে দিবে বলে প্রতারণা

প্রতারক জলিল সরকার। সে সরকারি অর্থ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে অভিনব কায়াদায় মামলার গেড়া জালে ফেলে অর্থ আদায় করতো।

বর্তমান সরকারের ফোর লেন জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়নের প্রকল্পের অধিগ্রহণকৃত মালিকদের জায়গা সম্পত্তি সমস্যা সমাধান করিয়ে দিবে বলে মোটা অংকের চাঁদার টাকা আদায় করে থাকে। জানাযায়, পৌরশহরের নয়নপুর এলাকার তাজুল ইসলাম সারকারের ছেলে জলিল সরকার ( ৪২ ), একই এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫), আমিন মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৪০), সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এসব বিষয়ে তাদের নামে রয়েছে চাঁদাবাজি, প্রতারনা, ছিনতাই, মারামারিসহ বেশ কয়েকটি মামলা ও অভিযোগ।

তাদের কারনে নয়নপুর এলাকাবাসী অথিষ্ট হয়ে পরেছে। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন স্থানে প্রতারক হবে সাবধান।

চাঁদাবাজির ঘটনার মামলায় জলিল সরকার, বাবুল মিয়া, সুজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।। সুজন এখনও জেলহাজতে থাকলেও জলিল সরকার ও বাবুল মিয়া জামিনে বের হয়ে যে সকল ভুক্তভোগি মানুষ তাদের বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ দিয়েছে তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এখন মামলা বাদীরা রয়েছে ভয়ে। আসামীরা কখন কি করে বসে তাদের সাথে। এনি পরিবার পরিজন নিয়ে আতংকে দিন কাঁটাচ্ছে।

সূত্রে জানাযায়, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে সদর থানায় চাঁদাবাজি মামলা এজাহার ভুক্ত হয়। সদর উপজেলার বিজেশ্বর গ্রামের মৃত ইদ্রিস ভূইয়ার ছেলে আবুল কালাম বাদি হয়ে মামলা করে। অধিগ্রহনের সরকারি অর্থ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে প্রতারণা করেন আসামীরা। পরে মামলার বাদিকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।

গতকাল রবিবার রাতে শহরের একটি মার্কেট থেকে জলিলকে একটি মারামারি ও ছিনতাই মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহিম বলেন, নিয়মিত মামলায় জলিলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরনও করা হয়েছে।

আনন্দবাজার/শাহী/নয়ন

সংবাদটি শেয়ার করুন