শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ সংকটে ধীরগতিতে নির্মাণ হচ্ছে মেডিকেল সেন্টার

উন্নত চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মেডিকেল সেন্টারের সম্প্রসারণ ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। নির্ধারিত সময়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হলে গত বছরের শুরু থেকেই এ হাসপাতাল থেকে সেবা নিতে পারত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, কর্মচারী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষ।

কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি না থাকায় তা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম দফা মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।বারবার মেয়াদ বাড়ানো এবং ব্যয়ের কিছু অপ্রাসঙ্গিক খাত তৈরি করায় এ প্রকল্পে ব্যয়ও বেড়েছে সমান হারে।

সম্প্রসারণ মেডিকেল সেন্টারের নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম মেয়াদের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ১ই আগস্ট। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় দ্বিতীয় মেয়াদ ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সম্প্রসারণ মেডিকেল সেন্টার ভবনের এখনো অনেক কাজ চলমান রয়েছে। যে পরিমাণ শ্রমিক দরকার তাঁর বিপরীতে হাতেগোনা কয়েকজন শ্রমিক দিয়ে চলছে প্রকল্পটির কাজ।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান, অর্থ সংকটে নির্মাণ সামগ্রী ক্রয় করতে না পারায় ধীরগতিতে এগুচ্ছে সম্প্রসারণ মেডিকেল সেন্টারের কাজ। তবে আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।

এ ব্যাপারে “নাজির হোসেন” ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে মোঃ মানিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বিলম্ব করে। তবে আগামী জুনের মধ্যে সম্প্রসারণ মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।

আরও পড়ুনঃ  নোবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির ৬ষ্ঠ বার্ষিকী উৎসব অনুষ্ঠিত

উল্লেখ, মেডিকেল সেন্টারটিকে পাঁচ তলায় উন্নীত করার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এক তোলার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এরপর বাজেট সাপেক্ষে বাকী তোলার কাজ সম্পন্ন হবে।সম্প্রসারিত নতুন এই অংশ(১ম তলা) ১২ শয্যা বিশিষ্ট করা হবে। ৩২৪২ স্কয়ার ফিট বিশিষ্ট সম্প্রসারিত নতুন এই ভবনে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পৃথক পৃথক ওয়ার্ডের ব্যবস্থা থাকবে।

আনন্দবাজার/শাহী/আজিজুর

সংবাদটি শেয়ার করুন