রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুষ্টিপ্রাচুর্য ও নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশ পুষ্টিপ্রাচুর্য ও নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যমান কৃষিকে বাণিজ্যিক রূপান্তরের অভিযাত্রায় কৃষিগবেষণা ও সম্প্রসারণ এবং সরকারের নীতি-সহায়তা ও প্রণোদনাসম্পৃক্ত কৃত্যপেশার অনুকূলেই থাকবে, এ আশ্বাস আমি আপনাদের দিচ্ছি।

আজ শনিবার ‘কৃষিবিদ দিবস-২০২১’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি সমৃদ্ধির উৎকর্ষে আসে খাদ্য নিরাপত্তার স্বস্তি। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রামে জয়ী হলেই কেবল উন্নয়নের মহাসড়কে শুভযাত্রার সাহস আসে। আত্মমর্যাদাশীল জাতির উন্নয়নের মেগা প্রকল্পের মেলা বসে।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কৃষিবিদ দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিবিদ দিবসে আমি দেশের সকল কৃষিবিদ, কৃষক এবং কৃষির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের কৃষি অনুকূলনীতি ও প্রণোদনায় কৃষক ও কৃষিবিদদের মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে অবদান রাখছে। অধিক জনঘনত্বের দেশে নিত্য ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে কৃষি-উৎপাদনের ক্রমবৃদ্ধি বিশ্বের কাছে বিস্ময়ের ব্যাপার। বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ঘোষণার মান রেখেছেন বাংলার কৃষক ও কৃষিবিদরা।

তিনি বলেন, কৃষিখাতের সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের প্রথমশ্রেণির মর্যাদা দেয়ার ঘোষণা দেন। যা এদেশের কৃষি, কৃষক ও কৃষিবিজ্ঞানিদের জন্য ছিল ঐতিহাসিক মাইলফলক। ফলে অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীরা কৃষিশিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বঙ্গবন্ধুর সেই নীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব নীতি অনুসরণ করছে।

আরও পড়ুনঃ  যমুনায় বাড়ছে ভাঙন

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ১০ টাকায় কৃষকদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে প্রায় এক কোটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। কৃষকদের প্রায় দুই কোটি ১০ লাখ কৃষক উপকরণ কার্ড দেয়া হয়েছে। বর্গাচাষিদের জন্য জামানতবিহীন কৃষিঋণ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক হাজার ৪০২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনেও তৃতীয়, আম উৎপাদনে সপ্তম, আলু-উৎপাদনে সপ্তম এবং পেয়ারা-উৎপাদনে অষ্টম স্থানে থেকে বিশ্বপরিমন্ডলে সমাদৃত। বিশ্বে ধান, পাট, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা ও আলু এবং সবজি ও মৎস্য-উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ২০০৯ সালে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ছিল তিন কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়ে হয়েছে চার কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন