ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) চলমান মেগা প্রকল্পের অধীনে ১০৬ কোটি টাকার দরপত্র নিয়ে হাইকোর্ট রিটের আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত রিট পিটিশনের মঙ্গলবারের (৯ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দশতলা একটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল নির্মাণের বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। এতে আবেদন করে ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে এম/এস রহমান ট্রেডার্স ও ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড আবেদন করে। পরবর্তীকালে একই সালের ১৩ ও ১৪ মে দরপত্র ওপেন করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, কাজ পাবার ক্ষেত্রে যে গ্রুপ সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে পারবে তাকে সাধারণত যোগ্য বলে বিবেচিত করা হয়। ওই দরপত্রে সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে আবেদন জমা দেয় এম/এস রহমান ট্রেডার্স। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্যে কাজ করতে আবেদন করে ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। কাজ পাবার ক্ষেত্রে ওই সব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা, যাদের ৫ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা, ৩০ কোটি টাকার কাজ সম্পন্ন করা এবং ইতোপূর্বে আটতলা ভবন নির্মাণের অভিজ্ঞতা আছে। এসব শর্তের কোনটিই পূরণ করেনি এম/এস রহমান ট্রেডার্স। সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পাবার যোগ্যতা রাখে।
পরে ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণকারী ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে কাজ পাবার যোগ্য বিবেচিত করে রেজুলেশন করে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি পুনরায় দরপত্র আহ্বান করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের পরে হাইকোর্টে রিট করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
এ ব্যাপারে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘অস্বচ্ছ পন্থায় যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে বঞ্চিত করে বিজ্ঞাপনের শর্ত পূরণ না করা সত্ত্বেও একটি কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অশুভ চক্রের হস্তক্ষেপ আজকের এই পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে।’
বিষয়টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম জানান, আমি ক্যাম্পাসের বাইরে আছি। তবে একটি উকিল নোটিশ পেয়েছি। ক্যাম্পাসে এসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।
আনন্দবাজার/শাহী/তিতলী