বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। গত সপ্তাহে তেল আমদানি ও বাজারজাতকারী শীর্ষস্থানীয় একটি কোম্পানি এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) নির্ধারণ করেছে ১৪০ টাকা। বিপণনকারী জানিয়েছে, এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া বেড়েছে খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দামও।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান জানান, দারিদ্র্য নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, করোনায় আয় কমে যাওয়া মানুষ খাওয়ার অন্যান্য খরচ কমিয়ে শুধু কয়েকটি অতি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে বাজার ব্যয় সীমিত করে এনেছে। চাল ও ভোজ্যতেল তাদের খাদ্যতালিকার সবচেয়ে জরুরি পণ্যের মধ্যে থাকে। দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা জানান, এর আগে ভোজ্যতেলের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২০১২ সালের মাঝামাঝিতে। ওই বছর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি মেট্রিক টন ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। তখন আমদানি কম হওয়ায় বাজারে তেলের ঘাটতিও তৈরি হয়েছিল।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পুরোনো নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১৩৩ টাকা ৫০ পয়সা। দুটি কোম্পানির দু’জন কর্মকর্তা এবং একজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, তখন (২০১২ সালে) বোতলজাত সয়াবিন তেলের এক লিটারের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩৫ টাকা। বর্তমানে সর্বোচ্চ দাম ১৪০ টাকায় নির্ধারণ করার মধ্য দিয়ে আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
আনন্দবাজার/টি এস পি