শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বুলবুলের তাণ্ডবে পাঁচজনের মৃত্যু

প্রবল  ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে  এখন পর্যন্ত দুই নারীসহ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে পটুয়াখালী ঘর চাপা পড়ে ও খুলনায়  গাছচাপা পড়ে নারীসহ তিন জন , সাতক্ষীরায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে একজন ও  বরগুনা একজন মারা গেছে ।

খুলনা

খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মণ্ডল (৫২) নামে এক নারী ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।  রোববার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ দাকোপে এ ঘটনা ঘটে। তিনি সুভাস মণ্ডলের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রমিলা মণ্ডল সাইক্লোন শেল্টার থেকে দক্ষিণ দাকোপ গ্রামের নিজ বাড়িতে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস নিতে আসেন। তিনি ঘরে ঢুকার পরপরই শিরিষ ও নারকেল গাছ ঘরের ভেঙে পড়লে তিনি ঘর চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

অন্যদিকে খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটি গ্রামে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক গাছচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের চার ঘণ্টার তাণ্ডবে খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপ এবং কয়রার দুই সহস্রাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং গাছপালা লণ্ড-ভণ্ড হয়ে গেছে।

 

পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ  ঘর চাপা পড়ে নিহত হন। শনিবার রাত  তিন টার দিকে একটি গাছ ভেঙে ঘরের উপর পরলে ঘরের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী  জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে জেলায় একজনের মৃত্যু ছাড়া আর তেমন কোন ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুনঃ  উদ্ধার করতে আসা জাহাজও আটকে গেল পোস্তগোলা ব্রিজের নিচে

বরগুনা

বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএন কলেজে আশ্রয় নিতে আসা হালিমা খাতুন নামে এক নারীর শনিবার  রাতে মৃত্যু হয়েছে। বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিচুর রহমান রোববার সকালে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হালিমা খাতুন অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন।

সাতক্ষীরা

বুলবুলের তাণ্ডব দেখার পড় দাবুড়া আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে আবুল কালাম নামে এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রবিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন