চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের কুলাল পাড়া (ইসলামিয়া পাড়া) গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আজ (৩ ফেব্রুয়ারি) বুধবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ১০ লক্ষাধিক টাকা বলে দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়া জানান, বুধবার রাত ১২ টার দিকে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আবদুল খালেক সওদাগরের বাড়ীতে হঠাৎ আগুন লাগে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে তার ছোট ভাই আব্দুল লতিফ, মোঃ জসিম উদদীন ও বোন কামরুন নাহারের বসত ঘরে। এতে ৪ পরিবারের ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল, মূল্যবান জিনিষ ও কাগজপত্রসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
এদিকে আগুনের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষণে এলাকাবাসী পাম্প মেশিনের সাহায্যে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা লিটন হাওলাদার বলেন, ‘আগুন লাগার একটু পরে আমরা খবর পেয়েছি। প্রথম অবস্থায় খবর পেলে অনেক আসবাবপত্র রক্ষা করা যেতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘চারজনের মালিকানা মাটির ঘরের পুরো আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন পুরোপরি নেভানো হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ আগুনের সূত্রপাত। আগুনে চার পরিবারের প্রায় ১০-১৫ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে বসতঘরসহ গৃহে থাকা প্রয়োজণীয় কাগজপত্র, স্বর্ণালংকার, মোবাইল, নগদ টাকা, ঘরে থাকা সকল মালামালসহ প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ঘর পুড়ে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে লালানগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দু:খ জনক। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
বর্তমানে সহায় সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।
আনন্দবাজার/শাহী/মতিন
