শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিরামপুরে জমিসহ গৃহ নির্মাণ প্রকল্প বরাদ্দের চেয়ে ব্যয় বেশি

বাংলার মানুষ কেউ গৃহহীন থাকবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর এমন স্বপ্ন বাস্তবে প্রতিফলন ঘটাতে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও ফলপ্রসু বাস্তবায়নের প্রসংশায় প মুখ হত দরিদ্র অসহায় গৃহহীন মানুষ। যার আলোকে সারা দেশের ন্যায় দিনাজপুরের বিরামপুরে ৪শত ১৫টি গৃহ নির্মাণের বরাদ্দ পায় উপজেলা প্রশাসন। বরাদ্দের চেয়ে ব্যয় বেশি হলেও নির্মাণে পরিপূর্ণ, গৃহহীনদের স্বপ্ন হলো বাস্তব। মুই মাথা নুকার জাগা পাইচু, আবেগ আপ্লুত হয়ে এমন কথা বলে গৃহহীনরা।

জানা যায়, সরকারি ২শতক খাস জমিতে টিন সেটের রান্নাঘরসহ সেমি পাকা দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি গৃহনির্মাণে বরাদ্দ ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা, তার সাথে কেয়ারিং খরচ ৪ হাজার টাকাসহ মোট বরাদ্দ ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করে নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু টিকসই, মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী একটি করে গৃহনির্মাণে খরচ প্রায় ২ লক্ষ টাকার অধিক। ফলে গৃহনির্মাণে নানা জটিলতায় উপজেলা প্রশাসন। তবে থেকে থাকেনি গৃহনির্মাণ কাজ।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাওসার আলী প্রতিবেদক কে জানায়, বরাদ্দকৃত টাকার পরিমাণ অনুসারে স্টিমেট অনুযায়ী কাজ সম্পূর্ণের বাহিরেও গৃহ তৈরিতে ড্যামপ্রুফ ঢালাই, লিন্টন ঢালাই, রং বা বার্নিশ, জমির নামজারী খরচ সনদপত্র তৈরি, সাইন বোর্ড তৈরিসহ নানান ধরনের খরচগুলো নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অতিরিক্ত ব্যয়ের জটিলতা।

অপর দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল আলম রাজুর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, স্থান ভেদে গৃহ নির্মাণের ইট, সিমেন্ট, বালুসহ নানা ধরনের উপাদানের মূল্য বাড়তি থাকায় প্রতিটি গৃহ নির্মাণে নির্মাণ ব্যয় বরাদ্দের চেয়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা বি-র্নিমানে যত বাধাই আসুক না কেন তবুও পিছিয়ে যাব না। বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের প্রেক্ষাপটেই স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিককে সাথে নিয়ে তার সহযোগিতায় সৃষ্ট সমস্যা সমাধান সাপেক্ষেই বরাদ্দকৃত ৪১৫টির মধ্যে ৩৫০টির কাজ পরিপূর্ণ ভাবে সমাপ্ত করা হয়েছে। যা গত ২৩ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভ উদ্বোধনের মধ্য দিয়েই প্রত্যেককে একটি করে মজবুত ও টিকসই গৃহ গৃহহীনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৫টি গৃহ অল্প সময়ের মধ্যে অসহায়দের মাঝে হস্তান্তর করে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  ৭ই মার্চের ভাষণ যুগে যুগে প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বিষয়গুলোর সত্যতা শিকার করে তিনি জানান, গৃহ নির্মাণের অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রেক্ষাপটে সাময়িক সমস্যার সৃষ্টি হলেও তা কাটিয়ে উঠেছি। তিনি আরো জানান, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি নিয়ে ইতি মধ্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি নিয়ে সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেছেন।

আনন্দবাজার/শাহী/কামরুজ্জামান

সংবাদটি শেয়ার করুন