ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এপ্রিল-জুনে হতে পারে শাবিপ্রবির চতুর্থ সমাবর্তন

সমাবর্তন মানে হচ্ছে এক সাথে মিলিত হওয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা জীবন শেষে মূল সনদপত্র দেয়া হয় সমাবর্তনের মাধ্যমে। সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ সম্মানের অধিকারী হয়, যার ফলে সবার মনে সৃষ্টি হয় বাঁধভাঙ্গা আনন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মহামান্য রাষ্ট্রপতি উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন। দেশের বাইরে থেকেও বিশিষ্ট অতিথি আমন্ত্রিত হয়ে আসেন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। অনেক শিক্ষার্থী সমাবর্তনের আগেই যোগ দেন জীবনের নতুন কর্মযজ্ঞে।

কিন্তু সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে ঘিরে আবারও তারা ফিরে যায় সেই চিরচেনা ক্যাম্পাসে। দিনটাকে উপভোগ করেন নিজেদের মতো করে। ছবি তোলার মহাযজ্ঞে মেতে ওঠেন সবাই। বিশেষ এ দিনটির পুরোটাই যেন ধরে রাখতে চান ক্যামেরার ছোট্ট পরিসরে। একদিকে দীর্ঘদিন পর একত্রে মিলিত হতে পারার আনন্দ, অন্যদিকে আবারও কর্পোরেট জীবনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে একটুখানি সতেজতায় নিজেকে রাঙিয়ে নেয়া। এর মাঝেই এক স্মৃতিবহুল দিন, নিজের সারাজীবনের অর্জনের স্বীকৃতি প্রাপ্তির দিন। এই সমাবর্তনের একটি দিনই যেন জীবনের আলাদা এক বিরাট অধ্যায় ।

১৯৮৭ সালে সিলেটে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রথম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর ১৯৯৮ সালের ২৯ এপ্রিল প্রথমবারের মত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ ৯ বছর পর সর্বশেষ ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে ২য় বারের মত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

তারও প্রায় একযুগ পর ২০২০ সালের ৮ই জানুয়ারি সমাবর্তনের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। গত বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া শাবিপ্রবির ৩য় সমাবর্তনের এক বছর পুর্ণ হল আজ। যদিও গত বছরের শেষের দিকেই ৪র্থ সমাবর্তনের আশ্বাস দিয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য তবে বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে সেটা আর সম্পন্ন করতে পারেন নি তিনি।

তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ৪র্থ সমাবর্তনের আয়োজন করা হবে বলে জানান উপাচার্য। এ বিষয়ে তিনি জানান, গত বছরররের সিদ্ধান্তেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন ২০২১ এর জানুয়ারিতে হবার কথা ছিল। এ নিয়ে মন্ত্রনালয়কে চিঠিও দেয়া হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেটা আর সম্ভব হয়ে উঠে নি।

তাই কিছুদিন আগে আবারো মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার ভিত্তিতে ও মহামান্য রাষ্ট্রপতির সম্মতিক্রমে আগামী এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে পরবর্তী সমাবর্তনের আয়োজন করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি। এতে সর্বশেষ ব্যাচ পর্যন্ত সমাবর্তন পাবে। মানে যারা সমাবর্তন অনুষ্ঠানের পনের দিন আগে রেজাল্ট পাবে তারাও সমাবর্তন পাবে। এ নিয়ে সবার সহযোগিতা আশা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন