ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশ যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাবে’

বাংলাদেশ যথাসময়েই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশি অংশীদার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল।

বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা জানান, আমরা যা বুঝতে পারছি তা হলো, ওই বিবৃতিটি সর্বজনীন। আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরা অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছি এবং যথাসময়েই ভ্যাকসিন পাব।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতে উৎপাদন করছে। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনের ভারতীয় সংস্করণ ‘কোভিশিল্ড’ চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া পর এটির তিন কোটি ডোজ সংগ্রহের জন্য গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে সরকার।

গতকাল রবিবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের দিয়েছে। ভারতে ভ্যাকসিন অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশও ভ্যাকসিনপ্রাপ্তিতে আরও অগ্রসর হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছিল।

তবে গতকাল রবিবার সেরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদার পুনাওয়ালা জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিনটি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। তবে তারা শর্ত দিয়েছে যে দেশটিতে ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন জনগোষ্ঠীর জন্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সেরাম ইনস্টিটিউট তা রপ্তানি করতে পাবে না। খোলা বাজারে ভ্যাকসিন বিক্রি না করার শর্তও দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমরা শুধু ভারত সরকারকে ভ্যাকসিন দেবো।

এ ব্যাপারে বেক্সিমকোর সিওও রাব্বুর রেজা জানান, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে করা চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে যে, স্থানীয় অনুমোদনের পর (বাংলাদেশ অনুমোদন দিলে) সেরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপের ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে।

ভারত কর্তৃক ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর বেক্সিমকো সেরামের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কি না, এ প্রসঙ্গে রাব্বুর রেজা বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরা সেরামের যাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, তারা জানিয়েছেন যে, তারা এখনও সরকার কিংবা সেরামের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো ধরনের নির্দেশনা পাননি।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন