ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায়  কাঁপছে তেঁতুলিয়া

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত পঞ্চগড়ে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। দিনদিন তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি কুয়াশা এবং কনকনে হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা।

শনিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকাল শুক্রবার (১ জানুয়ারি ) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, তীব্র শীত আর হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। করোনা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তীব্র শীতে শীতবস্ত্রের অভাবে ছিন্নমূল হতদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে তাদের শীত নিবারণ করছে। এছাড়া গরম কাপড়ের অভাবে স্টেশন, ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। তাদের রাত কাটছে নির্ঘুম।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ।

বিত্তবানরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও নিম্ন আয়ের লোকজনের তা হাতের নাগালের বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শীতে বোরো বীজতলা, আলু, সবজিক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে। শীতের কারণে জেলার ফুটপাত ও হকার্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। আরও দুই-একদিন এইরকম ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকবে। এরপর তাপমাত্র বাড়বে আবার কমবে। এখানে জানুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত শীতের তীব্রতা থাকতে পারে।

আনন্দবাজার/শাহী/মুবারক

সংবাদটি শেয়ার করুন