নওগাঁ সদরের চন্ডিপুরে একটি বাড়ির জন্যে অকেজো হয়ে রয়েছে রাস্তাটি। বাড়িটি দ্রুত অধিগ্রহণ করে ওই অসহায় পরিবারটিকে সরকারি ভাবে একটি বাড়ি দিয়ে যানবাহন চলাচল উপযোগি করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। রাস্তাটি চলাচলের উপযোগি না হওয়ায় ৮টি গ্রামের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হাজারো লোকের। অনেকবার চেষ্টা করে কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে দ্রুত ওই পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করে সরকারি ভাবে বাড়িতে দিয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগি আশ্বাস দেওয়া হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, এলাকাবাসিদের চলাচলের জন্যে নওগাঁ সদরের চন্ডিপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় এলাকায় তুলশীগঙ্গা নদীর উপর ১১ বছর আগে প্রায় ৭২ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। সেই সাথে একটি রাস্তাও। ব্রিজের পাশে মধ্যে রাস্তার পাশে মাত্র ২ শতকের সম্পত্তি উপর অসহায় আনোয়ারা বেগম নাম এক নারীর মাটির তৈরী বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়ির কারণে ৪টি মোড় এলাবাসিদের কাল হয়ে দাঁড়িয়ে।
রাস্তায় ৪টি মোড়ের কারণে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে ব্রিজটি অকেজো হয়ে থাকায় এলাবাসিদের নওগাঁ শহরে যেতে হয় ৪ কিলোমিটার ঘুরে। স্থানীয় রহিম উদ্দিন, কাশেম সরদারসহ অন্যরা জানান, এই একটি বাড়ির জন্যে যানবাহন চলাচল না করায় হাট-বাজারে উৎপাদিত ফসল নিয়ে যেতে বাড়তি পরিবহন খরচ করতে হয়। উপড়ন্ত ফসলের নায্য মূল্য পাননা গ্রামবাসি। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চন্ডিপুর, চকবুলাকি, গাংজোয়ার, ত্রিমোহনী, শিমুলিয়া, ইসলাবাড়িসহ ৮ গ্রামে হাজারো লোকের।
বাড়ির মালিক আনোয়ারা বেগম জানান, মাটির বাড়িটি অধিগ্রহণ করে তার বাড়ির দক্ষিণ পাশে সরকারি খাস সম্পত্তিতে সরকারি ভাবে একটি বাড়ি করে দেওয়ার দাবি জানান।
প্রতিবেশি আবুল কালাম আজাদ জানান, এলাবাসিদের চালচলে সমস্যরা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক কাদা হয়। ওই অসহায় নারীর বাড়ির পাশেই সরকারি জায়গায় একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগি করা দাবি তারা।
সদর চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওই বাড়িটি অধিগ্রহণ করে ওই অসহায় পরিবারটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্যে বিভিন্ন দপ্তরে ধর্ণা দিয়ে কোন সরকারি সহযোগিতা পাননি।
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন জানান, ওই পরিবারের জমি অধিগ্রহণ করে সরকারি ভাবে বাড়িতে তৈরী করে দিয়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগি আশ্বাস দেন স্থানীয় প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
আনন্দবাজার/শাহী/অনিক