সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাসী ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসৃজন কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। প্রকল্পের তালিকা অনুযায়ী কাজ না করে কাজ হচ্ছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা শরিফের বাড়িতে।
জানা যায়,উপজেলার পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চলতি অর্থবছরে ৪০ দিনের কর্মসৃজনের কাজের আওতায় শিডিউল মোতাবেক মহিরের বাড়ি হতে দারোগালীর বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য প্রকল্পের বরাদ্দ হয় ২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা। তালিকা অনযায়ী কাজ হওয়ার কথা থাকলেও সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তার উল্টো চিত্র। স্থানীয় পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চকনুর গ্রামের আওয়মিীলীগ নেতা শরিফুল ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের যোগসাজোসে তার বাড়ির উঠানে মাটি ভরাট করে যাচ্ছেন কর্মসৃজন শ্রমীকদের দিয়ে।
অপরদিকে দেখা যায় এই কর্মসৃজন কাজে শ্রমিকদের নেই কোন হাজিরা খাতা, তালিকায় ৩৪ জন শ্রমীকের কথা উল্লেখ থাকলেও কাজ করছেন মাত্র ১৭ জন লেবার দিয়ে। এ যেনো অনিয়মের মহাউৎসব!
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিরের বাড়ি হতে দারোগালীর বাড়ি পর্যন্ত কাজের অনুমদন থাকলেও সেই কাজের শ্রমিক দিয়ে গত সাত দিন ধরে ঐ আওয়ামী লীগ নেতা শরিফ তার বাড়িতে করাচ্ছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী নেতা শরিফের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার বাড়ির কাজের তালিকা আছে বলেই আমি আমার বাড়িতে শ্রমীকদের দিয়ে কাজ করছি। এ ব্যাপারে উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ উদ্দিন বলেন, আমাকে না মেনেই এই নিয়ম বহির্ভূত কাজ করছেন চকনুর গ্রামের আওয়ামী নেতা শরিফুল ইসলাম।
এ বিষয়ে পাঙ্গাসী ইউনিয়ন সচিব রেজাউল করিম জানান, আমি বিষয়টি নিয়ে ঘটনা স্থলে গেলে অনিয়মের সত্যতা পাই। আমি অনিয়মের বিষয়টি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি।
এমন অনিয়মের কথা পাঙ্গাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এরকম কোন অনিয়মের অভিযোগ আমি পাইনি বলে ফোনটি কেটে দেন।
এই অনিয়মের ব্যাপারে সর্বশেষ রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা(পিআইও) এর নিকট জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের মুঠোফোনে বলেন, এই অনিয়মের বিষয়টি আমি এখনো জানিনা তবে সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিব।
আনন্দবাজার/শাহী/আবির