কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্লিপের টাকা আত্মসাৎ, ভূয়া বিল ভাউচারে স্বাক্ষর করে অর্থ আত্মসাৎ সহ একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অবিভাবকেরা এবং ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্যরা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সহ সভাপতি(২০১৮-১৯) সাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া অভিযোগ পত্রে বলা হয়, ’আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারী কুড়িগ্রাম জেলা রাজারহাট উপজেলাধীন উমরমজিদ ইউনিয়নের কুমরগঞ্জ গ্রামের ফকিরেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সচেতন ব্যক্তিবর্গ। এই মর্মে অভিযােগ করিতেছি যে , জনাব মােঃ মইনুল ইসলাম ( জাষ্টিস) প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন। প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম ও দুর্নীতি সমূহ- বাজেট : ২০১৮-১৯ অর্থ বছর বাজেট ও ২০১৯-২০ অর্থ বছর ১। স্লিপ বাজেট -৫০,০০০ / ১। স্লিপ বাজেট -৫০,০০০ / ২। প্রাক – প্রাথমিক বাজেট -১০,০০০ /- ২। প্রাক – প্রাথমিক বাজেট -১০,০০০ / ৩। রুটিন মেইনটেনেন্ট বাজেট -৪০,০০০ / ৪। দূর্যোগকালীন ও অন্যান্য সম্পাদনের নিমিত্তে ৫,০০০ / প্রধান শিক্ষক ভূয়া বিল ভাউচার স্বাক্ষর করে আত্মসাৎ করেন। বাজেট ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছর এর মধ্যে কার্যসম্পাদন করার কথা থাকলেও তা করেননি। ০৬ / ১১ / ২০১৯ ইং ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি তাহার নিকট হিসাবে বসিলে তিনি হিসাব না দিয়ে, নানা ধরণের টালবাহনা শুরু করেন এবং বলেন যে, আমি আমার হিসাব শিক্ষা অফিসে দিয়েছি এবং কতিপয় ব্যক্তিবর্গের যােগসাজসে গত ০৯ / ১১ / ২০১৯ ইং তারিখে পূর্ণরায় বিদ্যালয়ে কমিটির মেয়াদ থাকলে তিনি কমিটির কাউকে না জানিয়ে নতুন করে তার মনগড়া কাছের লােকদের নিয়ে এডহক কমিটি গঠন করেন। আমরা কমিটির সদস্য ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ মােঃ মইনুল ইসলাম (জাষ্টিস ) কে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি বলেন আমার ইচ্ছা আমি কাহাকে কমিটি নিবাে সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার এই বলে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করিয়া বিদ্যালয় হইতে চলিয়া যায়। আরও উল্লেখ্য যে, প্রধান শিক্ষক ভর্তির সময়, ৫ ম শ্রেণির সনদ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা সনদ বাবদ গ্রহণ করেন। ১ম-৫ম শ্রেণি অর্ধ বাষিক, বার্ষিক পরীক্ষার ফি বাবদ সরকারি বিবি লঙ্ন করে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫০/৬০ টাকা করে নেন এবং তিনি সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন।’
উক্ত অভিযোগ পত্রে মােঃ লাল মিয়া, জেলাল সরকার, নজুরুল ইসলাম আব্দুর রশিদ, শাহাজাহান আলী, আনারুল ইসলাম, সুরুজ মিয়া সহ ২০জন ব্যক্তির সাক্ষর রয়েছে। এবং জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ মোট ৬টি যায়গায় অভিযোগ জানানো হয় বলে জানিয়েছে অভিযোগ কারীরা।
এ ব্যাপারে জানতে ফকিরেরহাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মােঃ মইনুল ইসলামের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, ’তদন্ত করে দুর্নীতি প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আনন্দবাজার/শাহী/রাজা