করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন ধরনের পরীক্ষা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে আট দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১০ জনকে অ্যান্টবডি দেওয়া হয়েছে। বিবিসি’র এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই অ্যান্টিবডি কার্যকর হলে যারা এখন পর্যন্ত টীকা পাননি বা পাওয়ার তেমন সম্ভাবনাও নেই, সেই জনগোষ্ঠীকে এটি সুরক্ষা দিতে পারবে।
মহামারির ছড়িয়ে পড়া রোধ করতেও এটি সহায়তা করতে পারবে।
এই ট্রায়ালটি পরিচালনা করছে, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হসপিটালের এনএইচএস ট্রাস্ট। তারা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে, করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়া কোনো ব্যাক্তির শরীরে দুটি ভিন্ন অ্যান্টিবডি প্রবেশ করালে তা রোগটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে কিনা অথবা অসুস্থ হওয়া থেকে রক্ষা করে কিনা।
সাধারণ কোনো ব্যক্তিকে টিকা দেওয়ার এক সপ্তাহ পর থেকে তা পুরোপুরি সুরক্ষা দেওয়া শুরু করে। যদি কারও শরীরে ইতোমধ্যেই ভাইরাস প্রবেশ করে ফেলে তাহলে এই এক সপ্তাহ সময়ও তার জন্য অনেকে দেরি হয়।
কিন্তু ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করা এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তাৎক্ষনিকভাবে ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে বানানো।
এই অ্যান্টিবডি এক বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে ব্লে বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকর্মী, হাসপাতালের রোগী এবং প্রবীণ নিবাসের বাসিন্দারা করোনায় সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে এই চিকিৎসা নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের আবাসস্থলেও অ্যান্টিবডি চিকিৎসা কাজ করতে পারে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হসপিটালস এনএইচএস ট্রাস্টের (ইউসিএলএইচ) ভাইরাস বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ড. ক্যাথেরিন হলিহান এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা গবেষণার নাম দিয়েছেন স্টর্ম চেজার। তিনি বলেন, যদি আমরা প্রমাণ করতে পারি যে এই চিকিৎসা কাজ করছে এবং লোকজনকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করছে, তাহলে এটা হতে পারে ভয়াবহ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি বাড়তি অস্ত্র।
আনন্দবাজার/শহক