পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান এমপি বলেছেন, আমি কিছুদিন আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে শারিরীক ভাবে অসুস্থ ছিলাম। আল্লাহর রহমতে এ যাত্রায় বেঁচে আমি আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। যদিও ডাক্তার নিষেধ করেছেন কোথায়ও বেশি ঘুরবো না এবং জোরে বেশি কথা বলা যাবেনা। কিন্তু মানুষের বেশি উপস্থিত ও ভালবাসা দেখলে জোরে কথা বলতে ইচ্ছে করে। আমি হাওর পাড়ের এক গৃহস্থে পরিবারের সন্তান। তাই আপনাদের ছেড়ে দুরে থাকতে পারি না।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা নারীবান্ধব, তিনি নারীদের খুব সম্মান করেন। তিনি হতদরিদ্র অসহায় নারীদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে থাকেন। আজ আপনাদের মাঝে যে টিউবওয়েল ও স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিণ বিতরণ করা হবে। তার যথাযথ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। কারণ জীবনে পানির প্রয়োজনীয়তা আছে। পানির অপর নাম জীবন, তবে সেটা হতে হবে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ। পানি ছাড়া কোন প্রানীই বেঁচে থাকতে পারে না। পানি প্রয়োজন তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ হওয়া চাই। আর এই টিউবওয়েলের পানি শুধু ৫ জনের নয়। আশেপাশের মানুষদের দিবেন, বাঁধা দিবেন না কারণ এটা আল্লাহর নিয়ামত। মুলত এই সরকার নিরাপদ পানির অভাবে যাতে কোন মানুষ আর কষ্ট না পায় তার সকল ব্যবস্থাই করছে। নিরাপদ পানির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন বিতরণ করছে সরকার।
এসবের পাশাপাশি দেশের যে সার্বিক উন্নয়ন হচ্ছে তা ইতিহাস যোগ্য। এদেশের ইতিহাসে কোন সরকার এত উন্নয়ন করেনি। দেশের যেদিকেই থাকাই শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন। হাওরাঞ্চলের মানুষের মন বড় তারা বেইমান নয়। তারা উপকার যে করে তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে জানে ও ধন্যবাদ দিতে জানে। আপনারা জানেন কিছুদিন আগে জেলার কিছু সাবওয়ালা লোকরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারণ নিয়ে আমাকে অপবাদ দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি সম্মান দেয়ার ও কেড়ে নেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে গভীর নলকুপ ও অফসেট -পিট ল্যাট্রিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
গভীর নলকুপ ও অফসেট পিট ল্যাট্রিণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেবুন নাহার শাম্মীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো: আব্দুল আহাদ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফারুক আহমদ, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ মিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সৈয়দা শমসাদ বেগম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তহুর আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাছিত সুজন, উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ- স্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রব সরকার, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী মোক্তাদির আহমদ, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ তেরাব আলী, দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন, শিমুলবাক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জিতু, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত রাজনৈতিক সচিব হাসনাত হোসেন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজা মিয়া, জুবেল মিয়া, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক ফয়েজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল গনি ভান্ডারী, যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল ইসলাম মইনুল, উপজেলা যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল হক, অর্থ সম্পাদক সোহেল তালুকদার, সদস্য সামিউল কবির, ছায়াদ হোসেন সবুজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রয়েল আহমদ, সহ সভাপতি আল মাহমুদ সুহেল ও কৃষকলীগ নেতা রহিম উদ্দিন প্রমূখ।
আনন্দবাজার/শাহী/নাহিদ