ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনা সনদ ছাড়া ২০ দিনে দেশে ফিরেছেন দুই হাজার যাত্রী

গত ২০ দিনে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে ফিরেছেন প্রায় দুই হাজার যাত্রী। গত ৫ ডিসেম্বর সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ( বেবিচক)। এ নিষেধাজ্ঞা তোয়ক্কা না করেই বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে এক হাজার ৯৯০ জন দেশে এসেছেন।

গত ২০ দিনে (৫ থেকে ২৪ ডিসেম্বর) বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে মোট ৭৪ হাজার ২১৫ জন পরিবহন করে। এর মধ্যে এক হাজার ৯৯০ জন, অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৯৯ জন যাত্রী করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া দেশে ফেরেন। সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করায় রাষ্ট্রীয় সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সসহ একাধিক বিমান সংস্থাকে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি জরিমানা করা হয় যাত্রীদেরও।

করোনার সনদ ছাড়া আগতদের অধিকাংশই মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ থেকে এসেছেন। সনদ না নিয়ে আসাদের রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আশকোনা হজ ক্যাম্পে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, করোনা সনদ ছাড়া কোনো এয়ারলাইন্স যাত্রী পরিবহন করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বর্তমানে সংখ্যায় খুব বেশি না হলেও প্রতিদিনই করোনা সনদ ছাড়া যাত্রী আসা অব্যাহত রয়েছে। বার বার সতর্কতা ও আর্থিক জরিমানাতে শতভাগ সফলতা আসছে না।

বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, আগের তুলনায় করোনা সনদ ছাড়া যাত্রীর সংখ্যা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।

করোনার আরটি পিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া কিংবা করোনা পজিটিভ যাত্রী নিয়ে আসাসহ বিভিন্ন কারণে মালদিভিয়ান এয়াইলাইন্সকে ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকা, এয়ার এশিয়াকে এক লাখ টাকা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ৩০ হাজার টাকা, সৌদি এয়ারলাইন্সকে দুই লাখ টাকা, ইতিহাদকে এয়ারওয়েজকে দুই লাখ টাকা এবং বুরাক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট অপারেটরকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন