দেশে ২১শ’ কোটি টাকার মোটরসাইকেলের বাজারের মধ্যে দেশীয় শিল্পের দখলে মাত্র ২০ কোটি টাকার বাজার। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হলে মাত্র ৫ থেকে ৭ বছরে ২১শ’ কোটি টাকার পুরোটাই দেশীয় শিল্পের দখলে আনা সম্ভব। বুধবার এসএমই ফাউন্ডেশনের আয়োজনে হালকা প্রকৌশল শিল্প: মোটরসাইকেল শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ উন্নয়ন প্রেক্ষিত এক ওয়েবিনারে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) পরিচালক ড. সৈয়দ এহসানুল করিম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্পসচিব কে এম আলী আজম। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি ও আইসিটি) সৈয়দ গোলাম কিবরীয়া এবং বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পসচিব কে এম আলী আজম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এ জন্য শিল্পায়নের কোনো বিকল্প নেই। তাই সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শিল্পের নীতি তৈরি ও বাস্তবায়ন এবং সহায়তা করতে চায় সরকার। হালকা প্রকৌশল শিল্পকে গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই প্রধানমন্ত্রী এই শিল্পকে ২০২০ সালের বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। দেশের শিল্প খাতের বিকাশে সরকারের এই ঘোষণা ও বিভিন্ন উদ্যোগ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বিশেষ অতিথি বিটাক মহাপরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মোটরসাইকেল শিল্পে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বিটাক। এর ফলে এই খাতের কারিগরি সক্ষমতা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের সভাপতি এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের প্রয়োজনীয় হালকা প্রকৌশল খাতের ৭০ হাজার কোটি টাকার পণ্যের চাহিদার মাত্র তিন ভাগের এক ভাগ দেশীয় শিল্পসমূহ সরবরাহ করে থাকে। আগামী পাঁচ বছরে দেশের মোটরসাইকেলের বাজার দ্বিগুণেরও বেশি বাড়তে পারে। তাই এই খাতের বিভিন্ন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে দেশের শিল্পায়নকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ওয়েবিনারে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে উদীয়মান বৃহৎ শিল্পসমূহের মধ্যে মোটরসাইকেল অন্যতম। দেশে ৭টি স্থানীয় ও ৮টি আন্তর্জাতিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৩৮টি মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও সংযোজনকারী শিল্প রয়েছে। এ শিল্পের বার্ষিক উৎপাদন আনুমানিক ৪ লাখ ৪০ হাজার ইউনিট, যা মোট চাহিদার ৮০ শতাংশ। এ শিল্পের উন্নয়নে ইতোমধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় মোটরসাইকেল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ন করেছে।
আনন্দবাজার/শহক