পড়াশোনা শেষে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৮ বছর বয়সে শিক্ষকতা শুরু করেছিলেন মাসুম। মাত্র ১০ মাসের মাথায় দেখা দেয় তার কিডনি জনিত জটিলতা। ‘ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন’ সহ দেশের নানা হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় মাসুমের দুটি কিডনিই বিকল হয়ে গেছে। গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাকোয়াদি উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষার সহকারী শিক্ষক আলতামাসুল ইসলাম মাসুম।
দুর্গাপুর ইউনিয়নের দেইলগাঁও গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমান মাস্টারের দুই সংসারে ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ের মাঝে মাসুম সবার ছোট। প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে প্রথমে প্রতি সপ্তাহে তিনবার এবং বর্তমানে দুইবার কিডনি ডায়ালাইসিস করাতে হচ্ছে তার। ইতোমধ্যে চিকিৎসা বাবদ প্রায় ২৫ লাখ টাকা খরচ করার পর পৈত্রিক ভিটা ছাড়া আর কোনো জমাজমি অবশিষ্ট নেই পিতৃহীন মাসুমের। ভাই বোনেরা সবাই আলাদা থাকলেও সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেন সবাই। আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় এতদিন কেটে গেলেও এখন একেবারেই নিরূপায় তিনি।
বর্তমানে মাসুমের কোনো উপার্জন নেই বললেই চলে। স্কুল থেকে ১৩ হাজার টাকা স্কেলে যে স্বল্প বেতন পেতেন তার বিপরীতে ব্যাংক থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেওয়ায় কিস্তি পরিশোধেই সব টাকা চলে যায় তার। আত্মসম্মান ও মর্যাদা রক্ষার চেষ্টায় এত দিন আর্থিক দৈন্যের কথা জন সম্মুখে প্রকাশ না করলেও এখন নির্মম পরিস্থিতির শিকার তিনি। তার পক্ষে এখন কিডনি প্রতিস্থাপন কিংবা ডায়ালাইসিস করার খরচ কোনোটাই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী একমাত্র ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তার বেঁচে থাকার আকুলতা ব্যক্ত না করে পারছেন না তিনি।
এমতাবস্থায় ভারতে একটি কিডনি প্রতিস্থাপন করার যে খরচ (সম্ভাব্য ২৫ লাখ টাকা) তা জোগাড় করতে পারলে তিনি আবারও সুস্থ দেহে (আল্লাহ তায়ালা সহায় হলে) নিজের সন্তান সহ অসংখ্য শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত গড়ায় অবদান রাখতে সক্ষম হতেন। যদি কোনো সহৃদয় ব্যক্তি (যার যার সাধ্য অনুযায়ী) সহযোগিতা করতে চান তবে
বিকাশ ও নগদ : ০১৯২০৪৪৬৬২৯
ডাচ বাংলা ব্যাংক, কাপাসিয়া শাখা, হিসাব নং – ২৩৭১৫১৭২৬১৬
আনন্দবাজার/শাহী/সবুজ