ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ব্রেক্সিট পরবর্তী চুক্তিতে বড় বাধা

একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য মুখিয়ে আছে ইইউ ও ব্রিটেন। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পরও সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এর পেছনে প্রধান যে কারণটি রয়েছে তা হচ্ছে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ।

যুক্তরাজ্য ও ইইউ উভয় পক্ষই চায় ব্রেক্সিটের পরও আন্তঃসীমান্ত মৎস্য আহরণ ও বাণিজ্য অব্যাহত থাকুক। সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের কাজে নিয়োজিত জাহাজগুলোর কার্যক্রম নিয়ে কোনো বিবাদ তৈরি হোক, তা-ও চায় না তারা। কিন্তু ঝামেলাটা বেধেছে কার হিস্যা কত হবে তা নিয়ে। সূত্র: দ্যা গার্ডিয়েন

এ সমস্যার আশু কোনো সমাধানও দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টকে বলেন, ‘মৎস্যসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা এখনও জটিল পর্যায়ে রয়েছে। সত্যি বলতে কি, মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে যে আমরা কখনই এ জটিলতা দূর করতে পারব না।’
যুক্তরাজ্য যখন ইইউর সদস্য ছিল, তখন কমন ফিশারিজ পলিসির অধীনে দেশটি তাদের সমুদ্রসীমার কিছু অংশ জোটের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে বাধ্য ছিল। আর এ পলিসির কারণে বহুদিন ধরে অন্যায্য বণ্টনের শিকার হয়ে আসছে বলে ব্রিটেনের অভিযোগ। এ কারণে নিজেদের সমুদ্রসীমায় অধিকার আরো সমুন্নত করতে চাইছে বরিস জনসন সরকার।
ব্রিটিশ উপকূল থেকে ১২ থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরবর্তী সমুদ্রসীমা এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ৬ থেকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত অংশ নিয়েও যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র মধ্যে দরকষাকষি চলছে। অঞ্চলটি ইইউর আওতাধীন না থাকলেও ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশের জাহাজ কয়েক শতাব্দী ধরে সেখানে চলাচলের সুযোগ পেয়ে আসছে।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন