গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত গৃহনির্মাণ ঋণ পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ ঋণের আওতায় ছিলেন না। তবে এবার শিক্ষক-কর্মচারীদের এ ঋণের আওতায় আনার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ-১ এর অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ-সংক্রান্ত একটি সভায় তিনি বলেন, চলতি মাসের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা এই ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। আর আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। এ ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০ লাখ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ সময় ২০ বছর।
এ ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ নেবে। অর্থাৎ চক্রবৃদ্ধি সুদ (সুদের ওপর সুদ) নেয়া হবে না। তবে ঋণগ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। বাকিটা সরকারের পক্ষ থেকে পরিশোধ করা হবে ভর্তুকি হিসেবে। শুধু সরকারি কর্মচারীরা যারা স্থায়ী পদে চাকরি করেন তারাই এ ঋণ পাবেন। চুক্তিভিত্তিক, খণ্ডকালীন, অস্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত এবং স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কেউ এই ঋণ পাবেন না।
কার জন্য কেমন ঋণ :
জাতীয় বেতন স্কেলে প্রথম থেকে পঞ্চম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ সব সিটি কর্পোরেশন ও বিভাগীয় সদরের (উপ-সচিব থেকে সচিব পদমর্যাদার) জন্য ৭৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৬০ লাখ এবং অন্য এলাকার জন্য ৫০ লাখ টাকা ঋণ নিতে পারবেন।
৬ষ্ঠ থেকে ৯ম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদর এলাকার জন্য ৬৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৫৫ লাখ এবং অন্য এলাকার জন্য ৪৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১০ম থেকে ১৩তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৫৫ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৪০ লাখ এবং অন্য এলাকার জন্য ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৪তম থেকে ১৭তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৪০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ৩০ লাখ এবং অন্য এলাকার জন্য ২৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
১৮তম থেকে ২০তম গ্রেডভুক্তরা ঢাকাসহ বিভাগীয় সদরের জন্য ৩০ লাখ, জেলা সদরের জন্য ২৫ লাখ এবং অন্য এলাকার জন্য ২০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন।
আনন্দবাজার/ইউএসএস