চাঁদপুরে অজোপাড়াগাঁয়ের পরিত্যক্ত ইটভাটায় চাষ করা হচ্ছে বিদেশি ফল। পরিবেশ দূষণের পরিবর্তে সেখানে চাষ করা হচ্ছে বিষমুক্ত, কীটনাশকমুক্ত দুর্লভ ও রসালো বিভিন্ন প্রজাতির বিদেশি ফল।
বিগত ৬০ বছর ধরে যে স্থানটি ইটভাটা হিসেবে ব্যবহৃত হতো, সেখানে বর্তমানে সবুজের সমারোহ। ইটভাটার কারণে এলাকার পরিবেশ দূষিত ব্যাপক হতো। কিন্তু ফলের চাষ করাতে ৩ মাসে বদলে গেছে সে চিত্র। পরিত্যক্ত ইটভাটায় সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে রসালো ফলের বাগান।
জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী এলাকায় পৈত্রিক ইটভাটার পরিত্যক্ত জমিতে পরিকল্পিতভাবে বিষমুক্ত অর্গানিক ফলের চাষাবাদ শুরু করেন উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন। জৈব ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চাষাবাদ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিদেশি ফল। এসকল ফলের মধ্যে রয়েছে সাম্মাম, রকমেলন, মাস্কমেলনসহ ৩ জাতের ব্যতিক্রম তরমুজ।
উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন জানান, সম্পূর্ণ অর্গানিক, এই ফলটা আমি কম মূল্যে সরবরাহ করতে পারি। শুধু বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চাষাবাদ আমার মূল লক্ষ্য নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই কীটনাশক ও বিষমুক্ত ফল কম মূল্যে সরবরাহ করতে চাই।
তার বিদেশি ফলের এই চাষাবাদ দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন লোকজন। এই বাগানে কর্মসংস্থানের অনেক সুযোগ হয়েছে বেকার যুবকদের।
বিদেশি অনেক ফলই দেশে উৎপাদন করা সম্ভব বলে মনে করছেন উদ্যোক্তা হেলাল উদ্দিন। তিনি আরও বলেন, যে সকল ফল উচ্চ দামে আমাদের এখানে আমদানি করা হয়, ওইসব ফল যদি আমরা এখানে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করতে পারি। আমরা যদি সফল হই তাহলে এই ফলগুলো সমগ্র দেশে ছড়িয়ে যাবে।
এগ্রো প্রকল্পটি এদেশের একটি মডেল ফল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী জেলার প্রধান কৃষি কর্মকর্তা। চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন যান, সম্পূর্ণ জৈবিক পদ্ধিতিতে পোকামাকড় দমনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি ওই কৃষকের বাগান দেখে এলাকায় এ রকম আরও বাগান হবে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে