দুর্দশায় আটকে আছে দেশের ব্যাংকিং খাত । খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধির টেকসই বিদ্যমান ব্যাংকিং ব্যবস্থার লক্ষ্য নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। তাছাড়া রাজস্ব আহরণে প্রতিকূলতার পাশাপাশি রয়েছে পুঁজিবাজারের সংকট। রেমিট্যান্স খাত পজেটিভ থাকলেও, ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো (প্রথম প্রান্তিক) রফতানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে আগামীতে বড় ধরনের চাপের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘স্টেট অব বাংলাদেশ ইকোনমি’ শীর্ষক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের রাজস্ব খাত, ব্যাংক, পুঁজিবাজার এবং বৈদেশিক লেনদেনের সার্বিক অবস্থা উপস্থাপন করা হয়।
ব্রিফিংয়ে বলা হয়, অর্থনীতি যে হারে বড় হচ্ছে বাড়ছে না রাজস্ব আহরণ সে হারে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা অনুযায়ী জিডিপির ১৪ শতাংশ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না। সরকারও এটা মেনে নিয়েছে। উন্নয়নশীল দেশে জিডিপির ১৫ শতাংশ রাজস্ব আহরণ হয়, আমাদের মাত্র ৯ শতাংশ। গত পাঁচ বছরে আরো একটি পরিবর্তন দেখেছি—জিডিপি যেভাবে বাড়ছে, আয়কর আহরণ সেভাবে বাড়ছে না। রাজস্ব আহরণ ঘাটতিকেই বড় উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করা হয় ।
সরকারি পর্যায়ে যারা প্রবৃদ্ধি গণনা করেন, তাদের প্রকাশ্যে এসে তথ্য-উপাত্ত মূল্যায়নের ভিত্তিতে উপস্থাপনের আহ্বান জানান পর্যবেক্ষকরা।