জমির গুণাগুণ রক্ষায় কৃষি কর্মকর্তারা গুরুত্ব দিচ্ছেন জৈব সারকে। আর বিষ মুক্ত হওয়ায় কেঁচো কম্পোস্টের চাহিদা বেড়েই চলেছে। দামে কম হওয়ায় কেঁচো সার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে কৃষকের কাছে। তাই চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর কৃষক দেলোয়ার হোসেন গড়ে তুলেছেন কেঁচো সারের খামার।
কেঁচো সার ব্যবহারে ফলন উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার উৎপাদন করছেন এই কৃষক। বর্তমানে তিনি নিজস্ব খামারে উৎপাদিত এ সার বিক্রি শুরু করেছেন।
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে প্রথম বারের মতো এনএফএলসিসি প্রকল্পের আওতায় ও উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের কৃষক দেলোয়ার হোসেন কেঁচো সারের বাণিজ্যিক উৎপাদন ও ব্যবহারে এগিয়ে আসেন।
এ বাণিজ্যিক কেঁচো সার উৎপাদন খামার গড়ে তুলছেন পাকা মেঝেতে ১৮টি পাকা রিং স্থাপন করে তাতে প্রাকৃতিক পঁচনশীল জৈব উপাদান গোবর, মাটি, খড়, তরকারির খোসা ও কেঁচো দিয়ে।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘কৃষি অফিসের সহায়তায় ভালোমানের ২ কেজি কেঁচো সংগ্রহ করে এ খামার শুরু করেছি গত এপ্রিল মাসে। গত চার মাস সময়ের মধ্যে ৬মণ কেঁচো সার উৎপাদন করতে পেরেছি। এর মধ্যে ৪ মণ বিক্রি করে ৩হাজার টাকা মুনাফা লাভ হয়েছে।’
বিক্রির পাশাপাশি নিজের ধান ও সবজি ক্ষেতে এ সারের ব্যবহার করছেন বলেও জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন, ‘ফসলের উৎপাদন বাড়াতে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার ব্যবহার করে সহজেই লাভবান হওয়া যায়। এ সার জমির উর্বর মাটি তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে। রাসায়নিক সারের চেয়ে কেঁচো সারের ব্যবহারে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায় ফলনও ভালো হয়। কেঁচো সারের উপকারিতা সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি অফিস।’
এছাড়া বিভিন্ন ধরণের মাটির সাথেই কেঁচোর বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয় তাই স্থানীয় মাটিতে সে স্থানের কেঁচোর সাহায্যেই জৈব সার তৈরি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বাইরে থেকে কেঁচো নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। বড় গর্ত, ট্যাংক বা কংক্রিটের বৃত্তাকার পাত্র-রিং অথবা যে কোনো বড় পাত্রে কেঁচোর প্রজনন ঘটিয়ে কেঁচো সার উৎপাদন করা যায় বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
আনন্দবাজার/শাহী/মতিন