ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তথ্য সুরক্ষার দুর্বলতায় সাইবার ঝুঁকিতে ব্যাংকখাত

সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তাছাড়া এখনো তথ্য সংরক্ষণের ঝুঁকিতে আছে ৩৬ শতাংশ ব্যাংক। প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ জনবলের ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। 

এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা ভার্চ্যুয়াল ব্যাংকিং-এ পিছিয়ে পড়ার কথা বললেও, ব্যাংকাররা বলছেন, সক্ষমতা অর্জনে অনেকটাই এগিয়েছে এ খাত। আর প্রাতিষ্ঠানিক নিরাপত্তা জোরদারে কম ব্যয়ে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

গবেষণায় দেখা গেছে, উত্তর ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে ৮০ শতাংশ সাইবার হামলাই হয়ে থাকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। সবচেয়ে বেশি সাইবার হামলা হয় আর্থিক সেবা খাতে। খাতওয়ারি তা ২৪ শতাংশ। এর মধ্যে শুধু এটিএম কার্ডের দুর্বলতার কারণেই ঘটেছে অধিকাংশ সাইবার হামলা।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)’র ২০১৯ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ব্যাংকিং খাতে, তথ্য সংরক্ষণের ঝুঁকিতেই রয়েছে ৩৬ শতাংশ ব্যাংক।

সর্বোচ্চ ১৬ শতাংশ ঝুঁকিতে রয়েছে ব্যাংকগুলোর গ্লোবাল ফরেন এক্সচেঞ্জ (জিএফএক্স) এবং মধ্যম ঝুঁকিতে ১২ শতাংশ। আর আধুনিকায়নের পথে ৩২ শতাংশ ব্যাংক।

বিআইবিএমের গবেষণা বলছে, ব্যাংকিং খাতে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ (আইটি) জনবল রয়েছে মাত্র ৪ হাজার। বিশ্লেষকরা বলছেন, আইটি খাতের আধুনিকায়নে অর্থ সংকুলান না থাকায় ভার্চ্যুয়াল ব্যাংকিং এ যেতে অনেক পিছিয়ে আছে এ খাত।

সাইবার নিরাপত্তায় বিশ্বে বছরে ব্যয় হয় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো ২০১৯ সালে সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় করেছে প্রায় ১৪০ কোটি টাকা।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন