ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২০২১ সালে সিনেমা বানাবো

মনসুর আলম নির্ঝর

জনপ্রিয় টিভি নির্মাতা মনসুর আলম নির্ঝর’ বর্তমান ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন রিজন আহমেদের সঙ্গে।

আনন্দবাজার: বর্তমান সময়ে আপনি বেশ ভালো ভালো নাটক নির্মাণ করছেন। নির্মাতা হওয়ার গল্প শুনতে চাই?

মনসুর আলম নির্ঝর: নির্মাণে আসার গল্প খুবই খারাপ প্যাথেটিক। ইউল্যাবে পড়াশোনার সময় কিছু ভাই ব্রাদার ছিল তাদের মধ্যে নাহিদ ভাই একজন। উনার মাধ্যমে তাদের প্রোডাকশন হাউজের জয়েন করা শুটিং দেখতে, আড্ডা দিতে গিয়ে তারপর আস্তে আস্তে ভালোলাগা। এরপর অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ শুরু।

আনন্দবাজার: কার কার অ্যাসিস্ট্যান্টসি করা হয়েছে?

মনসুর আলম নির্ঝর: বাংলাদেশের মোস্তফা মনন, নেওয়াজ নাহিদ কলকাতার অর্জিত মুখার্জি,পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় তাদের সাথে কাজ করেছি। সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি প্রায় ছয় বছর। তার মধ্যে মোস্তফা মনন এবং অরিজিৎ মুখার্জির সাথে সবচেয়ে বেশি কাজ করা হয়েছিল। ২০১৬ এর জুনে আমার নিজের প্রথম প্রোডাকশন শুরু। নাটকটির নাম ছিল ছাড়পত্র।

আনন্দবাজার: নাটক নির্মাণে আসার কারণ বলুন?

মনসুর আলম নির্ঝর: গল্প বলা। আমার গল্প বলতে ভালো লাগতো সবসময় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে গিয়ে তাদের গল্পে আটকে রাখতাম, মোটকথা গল্পে আটকে রাখার প্রবণতা ছোটকাল থেকেই ছিল। আর যেহেতু নাটকের মূল জায়গাটা হল গল্পের তাই সেই ভাল লাগা থেকেই নাটক নির্মাণে আসা।

আনন্দবাজার: আপনার নির্মিত প্রিয় কাজ ?

মনসুর আলম নির্ঝর: এবার পুজোয় ৪৩ নম্বর প্রোডাকশন শেষ হল এর মধ্যে আমার প্রিয় কাজ বলতে গেলে, কিছুটা সময়, নীলকন্ঠ পাখির অপেক্ষায়, তুমি-রবে-নীরবে, হাইওয়ে, ছাড়পত্র, যাদুর শহর নতুন ভোর। এগুলো মোটামুটি আমার পছন্দের কাজ। তবে পুরোপুরি স্যাটিসফ্যাকশন হয় না আসলে। আমার সব সময় মনে হয় কোথাও আরো একটু এফোর্ড দিলে হয়ত আরো ভালো লাগতো। সত্যি কথা বলতে পুরোপুরি স্যাটিসফাই হওয়া যায়না। তবে বেশ কিছু কাজে দর্শকদের প্রচুর ফিডব্যাক পেয়েছি যেগুলো আমাকে অনুপ্রেরণা জাগায় ।

আনন্দবাজার: বর্তমান ব্যস্ততা সম্পর্কে বলুন?

মনসুর আলম নির্ঝর: নতুন একটি ওয়েব ফিল্ম এর কাজ চলছে গল্পের নাম জার্নি টু ঢাকা। খুবই ভালো গল্প এবং পুরোটা সাসপেন্স থ্রিলার। দর্শক উঠতে পারবে না এটা আমি বলতে পারি। দুটি রাতের গল্প যেটা বাস্তব ঘটনা থেকে প্রভাবিত হয়ে করা হচ্ছে। যদিও গল্পের কারণে কিছু চেঞ্জ থাকবে তবে আশা করি দর্শকদের ভাল লাগবে। আর ২১ সালে মোটামুটি সিনেমা বানানোর টার্গেট নিয়ে নিয়েছি, যেটার প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশের খুব বড় একজনের বায়োপিক বানাবো তবে পারমিশনের অপেক্ষায় আছি। নাম বলতে চাচ্ছি না ব্যাপারটা সাসপেন্স থাকুক।

আনন্দবাজার: আপনার আইডল কে ?

মনসুর আলম নির্ঝর: আহামরি তেমন কেউ নেই। তবে অনুরোধ কেশর হতে পারে। তার কাজগুলো ভালো লাগে খুব। তবে যদি কৃতজ্ঞতার কথা বলতে দেয়া হয় তাহলে আমি কিছু মানুষের কাছে সবসময় কৃতজ্ঞ। যেমন মোস্তফা মনন অর জিত মুখার্জি। আরো অনেকেই আছেন। আমার বউয়ের প্রতি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ। ভদ্রমহিলা প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যে অফিস শেষে করে রান্না করে খাওয়ায়, অপেক্ষা করে সারা দিনরাত।

আনন্দবাজার: করোনাকালীন সময় কি ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ?

মনসুর আলম নির্ঝর: করোনা আমার জন্য আশীর্বাদ আমার লাইফের বেস্ট সময় পার করেছি। লকডাউনের সময় গুলোতে বাসায় থাকতাম, বউয়ের সাথে কাজে হেল্প করতে পেরেছি, বাসায় সময় দিতে পেরেছি। আর্থিকভাবে যদিও কিছুটা ক্ষতি হয়েছে তবে আমার তেমন বেগ পেতে হয়নি। কুরবানীর ঈদে কাজে নেমে ৬ টি কাজ করে আবার বাসায় ঢুকে যাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এখন কাজ চালিয়ে যাচ্ছি ।

আনন্দবাজার: সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ?
মনসুর আলম নির্ঝর: আপনাকেও ধন্যবাদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন