দেশের বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে রডের দাম। দিন দিন মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াতে ব্যাপক বিপাকে খুচরা বিক্রেতারা। যদিও স্টিল মিল মালিকরা জানান, বর্তমান মূল্য স্বাভাবিক। এদিকে, নির্মাণ শিল্পের ক্ষতি সামলাতে এখনই সহযোগিতা দিয়ে স্টিলের দামের লাগাম টানার পরামর্শ দিয়েছে ইস্পাত ব্যবসায়ীরা।
নির্মাণ শিল্পের অপরিহার্য উপাদান হচ্ছে রড। বর্তমানে করোনার ধাক্কা সামলে যখন আবারও কর্মচঞ্চল হচ্ছে নির্মাণখাত তখনই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে এর মূল্য। ঢাকার খুচরা বাজারে ৮ মিলি থেকে ২৫ মিলি আকারের প্রতিটন রড বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার ৫শ’ টাকা দরে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে আছেন তারা।
তবে মিল মালিকরা বলছেন মূল্য বাড়লেও তা স্বাভাবিক আছে। করোনার কারণে বিক্রি কমে যাওয়ায় যে দর পতন হয়েছিল তার সমন্বয় হয়েছে মাত্র। আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এমডি মানোয়ার হোসেন বলেন, এটা হচ্ছে প্রাইজ কারেকশন। তবে সংকটের কারণে কারেকশনটা একটু দ্রুত হলো।
তাদের মত অনুযায়ী, মূল্য বাড়ার চেয়েও এই মুর্হুতে বড় চিন্তার ব্যাপার হচ্ছে করোনার প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে রড তৈরির কাঁচামাল মেল্টিং স্ক্র্যাপ সংকট। বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের আগে প্রতিটন ২৫০-৩০০ ডলারে মিললেও বর্তমানে ৪০০ ডলারেও মিলছেনা প্রয়োজনীয় এ কাঁচামাল।
ব্যবসায়ীরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজার স্বাভাবিক না হলে রডের মূল্য সহসাই কমছেনা। কিন্তু সরকার চাইলে, নীতি সহায়তা ও কর অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে পরিস্থিত কিছুটা সামাল দিতে পারে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে