ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা স্থানান্তরে জাতিসংঘের বিবৃতি

রোহিঙ্গা-স্থানান্তরে-জাতিসংঘের-বিবৃতি

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কাজে ও শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি বলে আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) সংস্থাটি এক বিবৃতি দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে প্রারম্ভিক স্থানান্তরের কাজ শুরু করার ব্যাপারে জাতিসংঘ অবগত রয়েছে। কিন্তু স্থানান্তরের প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমে বিশেষ করে শরণার্থীদের শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে সম্পৃক্ত করা হয়নি। এমনকি স্থানান্তরের সকল কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জাতিসংঘের কাছে পর্যাপ্ত কোনো তথ্যও নেই।

এই বিষয়ে জাতিসংঘ জানায়, ভাসানচরে স্থানান্তরের ব্যাপারে, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা যেন প্রাসঙ্গিক, নির্ভুল ও হালনাগাদ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তথ্যসমৃদ্ধ এবং স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারে তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ সবসময়ই আহ্বান জানিয়ে এসেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ এই ব্যাপারটির ওপর ব্যাপক গুরুত্বারোপ করছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, যেসব রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্বেচ্ছায় স্থানান্তরিত হবেন উক্ত দ্বীপে তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবিকার নিশ্চয়তা,  মূল ভূখণ্ডে চলাচলের স্বাধীনতাসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ গুরুত্বারোপ করেছে। এটি ভাসানচরে একটি কার্যক্ষম এবং নিরাপদ জনপদের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। আর এই আলোচনা চালিয়ে যেতে জাতিসংঘ এখনও আগ্রহী।

জাতিসংঘের এই নিরপেক্ষ মূল্যায়নে রোহিঙ্গাদের বাসস্থান হিসেবে ভাসানচরের নিরাপত্তা, প্রায়োগিক সম্ভাব্যতা, স্থায়িত্ব ও শরণার্থীদের সুরক্ষা কাঠামো এবং তাদের সহযোগিতা ও সেবাগ্রহণের অবকাঠামোর সার্বিক পর্যালোচনা করা হবে।

কক্সবাজারের প্রায় ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য কার্যকর এবং মানবিক সহযোগিতা প্রদান কার্যক্রমে সরকারের নেতৃত্বমূলক ভূমিকাকে সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সেইসাথে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে নিরাপদ, স্বেচ্ছানির্ভর, মর্যাদাপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনসহ তাদের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ কাজ করে চলেছে।

সরকার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরিকল্পনা ও বাজেট প্রস্তুতকরণে আরও কিছু পরবর্তী কার্যক্রমের প্রয়োজন হবে। যাদের সকলের সহায়তায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সেবা কার্যক্রম সম্ভব হয়েছে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন