নানা আয়োজনে মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে মোংলা বন্দরের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ সময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেছেন, আন্তর্জাতিক আমদানি রপ্তানি বাণিজ্য সহ জাতীয় অর্থনীতির গতি ত্বরান্বিতকরণে মোংলা বন্দর বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রাজস্ব আয়সহ অর্থনীতি প্রবৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর মোংলা।
মোংলা বন্দরের ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বন্দরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ জাহাজ আগমন উপলক্ষে মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় বন্দরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ইয়াসমিন আফসানা, সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, বিসিজিএম, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,বিএন, পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ গিয়াস উদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মুহাম্মদ নাসির উদ্দিন, (যান্ত্রিক ও তড়িৎ) প্রধান প্রকৌশলী (নৌ) কমান্ডার এ এফ এম জাহিদুর রহমান, হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন, প্রধান অর্থ ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সিদ্দীকুর রহমান, পরিকল্পনা প্রধান মোঃ জহিরুল হক, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বি এম নুর মোহাম্মদ, উপসচিব মাকরুজ্জামান মুন্সী, ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার মোঃ সোহাগ, মোংলা বন্দর কর্মচারী সংঘের সভাপতি সাইজ উদ্দিন মিঞা, সাধারন সম্পাদক মোঃ ফিরোজ প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে রাজধানী ঢাকার সাথে মোংলা বন্দরের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। বন্দরের ব্যবহার কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। ভবিষ্যত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য মোংলা বন্দরকে সক্ষম করে তোলার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে মোংলা বন্দরে ৩ হাজার জাহাজ, ৩০ হাজার গাড়ি এবং ৮ লক্ষ টিইউজ কন্টেইনার ও ৪ কোটি মেট্টিকটন কার্গো হ্যান্ডলিং করার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা পাশাপাশি বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে একটি র্যালী বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রদক্ষিণ শেষে আবার বন্দর চত্বরে এসে শেষ হয়।
আনন্দাবাজার/শাহী/সুজন