চলতি বছরের কয়েকদফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেই সাথে বন্যা ও নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামত ও পুনর্নির্মাণ বাবদ প্রত্যেক পরিবার পাবে ঢেউটিন এবং নগদ অর্থ সহায়তা। কাঁচা রাস্তা, ভেঙে পড়া বেড়িবাঁধ, ক্ষতিগ্রস্ত ও এইচবিবি রাস্তা মেরামত ও পুনরায় নির্মাণ করা হবে।
এছাড়া সেচ ও ড্রেনেজ অবকাঠামো, কালভার্ট স্থাপনা, পল্লি সড়ক নির্মাণ এবং মেরামত করা হবে। এসকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশের ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চলেছে সরকার। বন্যা পুনর্বাসনে সরকারের নেওয়া অগ্রিম কর্মপরিকল্পনা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্র অনুযায়ী, চলতি বছরের বন্যায় ৩৭টি জেলায় মোট ১ হাজার ৩২৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিলীন হয়েছে ফসলি জমির পরিমাণ ২ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৮ হেক্টর। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮১৪ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১২ লাখ ৭২ হাজার ১৫১ জন।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ এর আওতায় থাকা সকল দফতর করোনা ঝুঁকির মধ্যেও সক্রিয় রয়েছে। কৃষকের পাশে থেকে উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। যেসকল উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে বন্যার ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, এরইমধ্যেই সুপার সাইক্লোন আম্ফান ও ২০২০ সালের কয়েক দফায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে একনেকে ৫ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশের ১৪ জেলার ৬৯ উপজেলায় এই প্রকল্পের কাজ চলবে। এসব কাজেও কর্মসংস্থান হবে অনেকের।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে