ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাপেক্সের সক্ষমতার পরও কাজ করছে বিদেশি কোম্পানি

দেশে গ্যাস উত্তলনে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সক্ষমতা থাকার পরও বাড়তি খরচে কূপ খনন করবে বিদেশি প্রতিষ্ঠান। কুমিল্লার শ্রীকাইলের কূপ থেকে ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের মাধ্যমে আবারও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। কিন্তু তবুও ভোলায় বাপেক্সের আবিস্কার করা গ্যাসক্ষেত্রে বাড়তি খরচে কূপ খনন করছে রাশিয়ার গ্যাজপ্রম।

বিশেষজ্ঞরা জানান, একমাত্র উত্তরাঞ্চল বাদে সারা দেশেই নতুন গ্যাসফিল্ড পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, আর এই অনুসন্ধান ও উন্নয়নের সক্ষমতা দেশি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সেরই রয়েছে।

এর আগে, শ্রীকাইলে ৪ নম্বর কূপ থেকে দৈনিক গ্যাস উঠতো ৬০-৭০ লাখ ঘনফুট করে। কিন্তু নতুন করে খননের ফলে বর্তমানে প্রতিদিন গ্যাস মিলছে ২ কোটি ঘনফুট।

জানা গেছে, শ্রীকাইলে এই গ্যাসক্ষেত্রটির অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও উত্তোলনের কাজ করছে দেশের প্রতিষ্ঠান বাপেক্স নিজেই। কিন্তু বাপেক্সের অক্ষমতার প্রশ্ন তুলে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ গ্যাসক্ষেত্রে যুক্ত করা হয়েছে নাইকো, গ্যাজপ্রম এবং শেভরনের মতো বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানকে।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বাপেক্স সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিদেশি কোম্পানির হাত থেকে একেবারেই ঝুঁকিমুক্ত থাকতো।

এ ব্যাপারে জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান বলেন, পাহাড় এবং সাগরে অনুসন্ধানের সক্ষমতা বাপেক্সের নেই। এ কারণেই গ্যাস উত্তলনে বিদেশি কোম্পানি আনতে হয়। এই তথ্য কতুটুকু সঠিক?

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বদরূল ইমাম জানান, এখন বাপেক্সের সাগরে গ্যাস অনুসন্ধানের সক্ষমতা না থাকলেও ভূখণ্ডে গ্যাস অনুসন্ধানে বা উত্তোলনে সক্ষমতা না থাকার কোনো কারণ নেই। দেশের উত্তরাঞ্চল ছাড়া সকল অঞ্চলেই গ্যাস পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এসকল স্থানে বাপেক্সকে দিয়েই গ্যাসফিল্ড আবিষ্কার করা সম্ভব।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন