ঢাকা | বৃহস্পতিবার
১৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
১লা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবার ঋণ বিতরণের সীমা বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক

করোনাভাইরাসের ক্ষতি মোকাবেলায় কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (সিএমএসএমই) সরকারঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিলের ঋণ বিতরণে গতি আনতে অনুৎপাদনশীল ব্যবসা উপখাতে ঋণ বিতরণের সীমা আবার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এখন থেকে সিএমএসএমইর ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ঋণের আনুপাতিক হার হবে ৩৫ শতাংশ। এক মাস আগেই এ হার ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রগ্রামস বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, এর ফলে ব্যবসা উপখাতে আগের চেয়ে বেশি প্রণোদনার ঋণ বিতরণের সুযোগ পাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত ১৩ এপ্রিল সিএমএসএমই তহবিলের নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, অধিক সংখ্যক জনবল নিয়োজিত থাকায় সিএমএসএমইর উৎপাদন ও সেবা—এ দুই উপখাতে প্রাধান্য দিয়ে মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পে ব্যবসা উপখাতকেও প্রণোদনা প্যাকেজের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

সেই সঙ্গে উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ঋণ বিনিয়োগের আনুপাতিক হার যথাক্রমে ৫০, ৩০ ও ২০ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়।

গত ৩১ আগস্ট আরেক সার্কুলারের মাধ্যমে উৎপাদন ও সেবা খাতে বাৎসরিক ঋণের আনুপাতিক হার যথাক্রমে ৫০ ও ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সামগ্রিকভারে ৮০ শতাংশে পুনর্বিন্যাস করা হয়। এরপর গত ২৮ অক্টোবর আরেক সার্কুলারের মাধ্যমে ব্যবসা উপখাতে ৩০ শতাংশ এবং উৎপাদন ও সেবা খাতে বাৎসরিক ঋণের আনুপাতিক হার সামগ্রিকভাবে ৭০ শতাংশে পুনর্বিন্যাস করা হয়।

এসব সার্কুলারের উদ্ধৃতি দিয়ে নতুন সার্কুলারে বলা হয়, বিদ্যমান তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের বড় অংশ ব্যবসা খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই খাতে বিনিয়োগের আনুপাতিক হার বৃদ্ধি করা হলে আরো অধিকসংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অন্তর্ভুক্ত সহজ হবে। তা ছাড়া এ বিষয়টিও পরিলক্ষিত হচ্ছে, আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছতে সক্ষম হয়নি।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক ঋণের আনুপাতিক হার ৩০ শতাংশের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। তবে তহবিলের আওতায় ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বাৎসরিক ঋণ বিনিয়োগের ৩০ শতাংশের বেশি হলে (যা কোনোভাবেই ৩০ শতাংশের অধিক হতে পারবে না) সমানুপাতিক হারে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে ঋণের অনুপাত হ্রাস পাবে। তবে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে সামগ্রিক ঋণের অনুপাত ৬৫ শতাংশের কম হবে না।

 

সূত্র: কালের কন্ঠ

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন