ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিপিপিএ-মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা

বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনার বেনোইত প্রেফোতেইন সরকারী বেসরকারি অংশিদারিত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের আগ্রহ দেখিয়েছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাই কমিশনার বেনোইত প্রেফোতেইন সৌজন্য সাক্ষাত করতে আসেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটির প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজের সঙ্গে। এ সাক্ষাত পর্বে কানাডিয়ান হাই কমিশনারের সাথে অংশগ্রহণ করেন হাই কমিশনের কন্স্যুলর ও সিনিয়র ট্রেড কমিশনার করিনে পেট্রিসর এবং কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার ডঃ খলিলুর রহমান।

পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহি সুলতানা আফরোজ বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় সবসময় কানাডার পাশে দাঁড়ানোঢ় জন্য প্রশংসা করেন। সেসঙ্গে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন- কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশী হাই কমিশনার বাংলাদেশের স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে এবং পিপিপি কর্মসূচিতে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করবে।

এবারের বৈঠকে কানাডিয়ান হাই কমিশনার বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক অংশিদারিত্বের ক্ষেত্র প্রসারিত করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। সেসঙ্গে তিনি কানাডার বেসরকারি খাত এবং উভয় দেশের জন্য উপকারী প্রকল্প গ্রহণের জন্য উত্তোলন সংস্থাগুলোকে সরকারী বেসরকারি অংশিদারিত্বের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছেন।

আলোচনায় ডঃ খলিলুর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নের গতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে পিপিপির গুরুত্ব তুলে ধরে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে আলোকপাত করেছেন। এ বৈঠকে পিপিপিএ-র ভূমিকা, দায়িত্ব ও কৃতিত্বের রূপরেখার উপর একটি বিশেষ প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করা হয়। উল্লেখ্য, পিপিপিএ কর্তৃক বাংলাদেশে ৭৯টি প্রকল্প চালু রয়েছে যার মধ্যে ৬টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। খাদ্য, পরিবহণ, কৃষি, পরিবেশ, পর্যটন, স্বাস্থ্য, আবাসনসহ বেশ কিছু সেক্টরে চালু রয়েছে পিপিপিএ প্রকল্প।

উল্লেখ্য, কানাডিয়ান হাই কমিশনার বেনোইত প্রেফোতেইন পিপিপি প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) মডেলে একত্রে কাজ করার বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন