ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাস্থানগড় বাজারে পণ্যসম্ভরে সাজানো শীতকালীন সবজি

ঐতিহ্যবাহী বগুড়ার মহাস্থানগড় কাঁচা বাজরে পণ্যসম্ভরে সাজানো শীতকালীন সবজি। শনিবার ও বুধবার সাপ্তাহিক হাট ছাড়াও প্রতিদিন সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলাসহ আশ-পাশের এলাকার কৃষকরা, তাদের জমিতে উৎপাদিত সবজি এই বাজারে বিক্রি করতে আসেন।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহাস্থানগড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি দিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মাঠের বিশাল অংশজুড়ে। ভ্যানবোঝাই মুলাগুলো যেন নজর কাড়ছিল সকলেরই। স্তূপ থেকে ঝাঁঝ ছড়াচ্ছিলো দেশি পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের।

করলা, পেঁপে, লাউ যেন শোভা পাচ্ছিলো গাঢ় সবুজে। আর বেগুনি ও সবুজ রংয়ের বেগুনের তো গুণেরই শেষ নেই। তরতাজা এসব সবজির গায়ে তখনও লেগেছিল শিশিরকণা। সবজিগুলোর ক্ষেত থেকে তুলে সরাসরি বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে এসেছে কৃষক।

খুব ভোর থেকে চলছে তাদের এই বিক্রির আয়োজন। ক্ষেত থেকে সবজি তোলার পর ভটভটি, ভ্যান, রিকশা, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন মাধ্যমে  সবজি নিয়ে এই বাজারে হাজির হয় কৃষকরা।

বাজারে পা রাখা মাত্র দেশের নানা প্রান্তর থেকে আসা পাইকাররা ঘিরে ধরে কৃষকদের। যে যার মতো করে সবজি নিয়ে বাজারের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে অবস্থান নেন। এরপরে পাইকাররা দরদাম কষে সবজি কিনতে শুরু করেন।

দিনব্যাপী এভাবেই চলছে শীতকালীন সবজি কেনা-বেচা। বিকেল হতেই দূর-দূরান্তের পাইকারদের কেনা ছোটখাটো যানে সবজি নিয়ে ছুটে চলেন নিজ এলাকার বাজারগুলোতে। এ কাজে পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও দেখা যায়।

কৃষক খয়বর আলী জানান, ঐতিহ্যবাহী মহাস্থানগড় কাঁচা বাজার সবজির সবচেয়ে বড় মোকাম। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এখানে নিয়মিত আসেন। এছাড়াও স্থানীয় পাইকাররাও কেনাকাটার জন্য এ মোকামের ওপর নির্ভরশীল। তাই সবসময়ই মহাস্থানগড় বাজারে পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকে।

কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবছর থেকে এবছর শীতকালীন সবজির আবাদ অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে ব্যাপক সবজির চাহিদা রয়েছে, দামও বেশ ভালো। এ অঞ্চলের কৃষকরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ সবজির আমদানি ঘটাচ্ছেন।

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন