ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা

দিন দিন বেড়েই চলেছে রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবণতা। যে কারণে সমস্যা বেড়ে চলেছে কক্সবাজারের স্থানীয়দের মাঝে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এনজিও, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনে সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মায়ানমারের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক। এর পর ৩টি বছর পেরিয়ে গেলেও একজন রোহিঙ্গাকেও প্রত্যাবাসন করা যায়নি।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে দিন দিন থিতু হয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। আধিপত্য বিস্তার, বাজার ও মাদক নিয়ন্ত্রণে জড়িয়ে পড়ছে অসংখ্য রোহিঙ্গা। এছাড়া সংঘর্ষ, গোলাগুলি ও খুনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

স্থানীয়দের দাবি, প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা ভুলে যেতে বসেছে। ফলে রোহিঙ্গাদের এসব দৌড়াত্বে নানাবিধ সমস্যায় উদ্বেগ বাড়ছে তাদের।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আলোর মুখ দেখছে না জানান উখিয়ায় অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি বলেন, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো যদি আন্তরিক হতো তাহলে প্রত্যাবাসন এতো বিলম্বিত হতো না। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসান করছে না কারণ তাদের বিশ্বব্যাপী যে কার্যক্রম আছে তার চেয়ে বেশি আছে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে।

অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা জানান, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনই সরকারের মূল টার্গেট। সে লক্ষেই কাজ করছেন তারা। ক্যাম্পে তাদের চলাফেরার নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আর তাদের প্রতিনিয়ত বলা হচ্ছে তোমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত হও যে কোনো সময় মিয়ানমার যেতে হবে। তোমাদের নিজেদের দেশে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর নাইপিদোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চুক্তি হয়। তবে সেই চুক্তির বাস্তবায়ন আজও হয়নি।

আনন্দবাজার/ডব্লিউ এস

সংবাদটি শেয়ার করুন