শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ১২০ কোম্পানিকে অর্থ জমা দিতে চিঠি

শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর ১০০ টাকা লাভের বিপরীতে ৫ টাকা শ্রমিক কল্যাণে ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা ছিল। এই ৫ টাকার ৮০ শতাংশ শ্রমিকদের সঙ্গে ভাগাভাগি এবং ২০ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে জমা দেয়ার বিধান রাখা হয় ওই আইনে। পরবর্তী ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করে ১০ শতাংশ সরকারের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে এবং বাকি ১০ শতাংশ কল্যাণ তহবিলে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। এর ব্যত্যয় হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে সংশোধিত শ্রম আইনে।

বিদ্যমান শ্রম আইনে শ্রমিকের কল্যাণে মালিকপক্ষের ব্যয়িত ৫ শতাংশ লভ্যাংশের একটি অংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে । যদিও দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এতে সাড়া দিচ্ছেনা । এ অবস্থায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আইন অনুসারে প্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যায়ক্রমে তাগাদা দিতে শুরু করেছে । এখন পর্যন্ত ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে তহবিলে অর্থ জমা দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশে অর্থনৈতিক ইউনিট আছে ৮৩ লাখ। এরই মাঝে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৩ হাজারের মতো কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের (ডিআইএফই) নিবন্ধিত শিল্প-কারখানা রয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অর্থ জমা দিয়েছে মাত্র ১৫১টি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের ফলে গতকাল পর্যন্ত তহবিলে ৩৯৮ কোটি ৫০ লাখ ২ হাজার ২৮৫ টাকা জমা পড়েছে । নিবন্ধিত সবগুলো প্রতিষ্ঠান সাড়া দিলে এ তহবিলের আকার আরো অনেক গুণ বড় হতে পারত।

আরও পড়ুনঃ  করোনা ভাইরাসের প্রভাব এশিয়ার শেয়ারবাজারে

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রেজাউল হক এ প্রসঙ্গে  বলেন, আইন প্রণয়ন হলেও আইনটি সম্পর্কে সবাইকে যথাযথভাবে অবহিত করা হয়নি। যদিও আইন অনুসরণ করে বাধ্যবাধকতা রয়েছে লভ্যাংশের একটি অংশ সরকারের তহবিলে দেয়ার । আমরা ডিআইএফই থেকে তালিকা সংগ্রহ করে এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোকে আইনের ধারা অনুসরণে অবহিত করছি। এখন পর্যন্ত শতাধিক কোম্পানিকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন