নীলফামারীর জলঢাকার চরাঞ্চলে আগাম ভুট্টা চাষে ব্যস্ত কৃষকরা। বেশি মুনাফার আশায় আগাম ভুট্টা আবাদে নিয়োজিত হয়ে দিন রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকেরা কেউ জমিতে ভুট্টার বীজ রোপন করছেন। আবার কেউ বীজ থেকে বেড়িয়ে আসা ছোট ছোট চারা গাছের পরিচর্যা করছেন। কেউ কেউ নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কারে নিবিষ্ট।
ডাউয়াবারী ইউনিয়নের চর ভরাট এলাকার কৃষক রশিদুল ইসলাম (৫৫) জানান, এই চর অঞ্চল ভুট্টা চাষের জন্য বর্তমানে খুবই উপযোগী। এখানে বিঘাপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ মণ ভুট্টা পাওয়া যায়। তিনি আগাম ভুট্টা চাষ সম্পর্কে বলেন, আগে ভুট্টার বীজ রোপন করে, সবার আগে ভুট্টা জমি থেকে তোলা গেলে তার দামটাও বেশ ভালো পাওয়া যায়।
তাছাড়া ভুট্টার পাতা গো-খাদ্য, গাছ ও মোচা জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তাই শৌলমারী ইউনিয়নের কৃষক মোঃ শহিদুল ৬০ শতক, মজিদ তিন বিঘা, মাকুল্লা সতেৱ শতক, রুবেল আটাশ শতক, মশিউর ষাট শতক জমিতে আগাম ভুট্টার বীজ রোপণ করেছে।
এই বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তা শাহ মোঃ মাহফুজুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৮৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে যার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০ হাজার দুইশত মেট্রিক টন।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আগে কৃষক প্রশিক্ষণের জন্য কোন হল রুম ছিল না। সরকার ইতিমধ্যে কৃষকদের কথা বিবেচনা করে দুই তলা বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কৃষক প্রশিক্ষণের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি উপজেলার কৃষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে।
আনন্দবাজার/শাহী/মনন