শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সরকারি ভবনের বীমা

বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে সরকারি ভবনের বীমা। ইতোমধ্যে বহুতল ভবন বীমার অধীনে আনতে কাজ শুরু করেছে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। ফলে প্রাথমিকভাবে সরকারের প্রতিটি ভবন বীমার অধীনে আনার উদ্দেশে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

সূত্র জানিয়েছে, বহুতল ভবন বীমার আওতায় আনতে অনেক ধরেই বীমা সংশ্লিষ্টরা দাবি জানিয়ে আসছেন। ২০১৭ সালের মার্চে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এ দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি বহুতল ভবন বীমার অধীনে আনতে কার্যক্রম শুরু করে সরকার। তবে সরকারের ইতিবাচক সংকেত পাওয়ার পর এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে আইডিআরএ। কিন্তু প্রথমে শুধু সরকারি অফিস ও ভবন বীমার অধীনে আনা হবে। সরকারি প্রতিটি ভবন বীমার অধীনে আনার পরে বেসরকারি ভবনে বীমা বাধ্যতামূলক করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ উদ্দেশে ইতোমধ্যে সরকারি ভবনের তথ্য চেয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে আইডিআরএ।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন জানান, ভবনের বীমার ব্যাপারে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে তথ্য চেয়ে আমরা ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি। গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

তারা বলছেন, প্রায়ই সরকারি-বেসরকারি নানা ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। আর এতে কোটি কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। এমনকি প্রাণহানির ঘটনাও কম নয়। কিন্তু এসব ভবনে বীমা না থাকায় ভবন মালিক বা ক্ষতিগ্রস্তরা কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ পান না। এতে ভবনে আগুনের ঘটনায় অনেকেই নিঃস্ব হয়ে পড়েন। কিন্তু এসব ভবন বীমার অধীনে থাকলে তার ক্ষতিপূরণ পেতেন ভবন মালিক বা ক্ষতিগ্রস্তরা।

আরও পড়ুনঃ  কমলো স্বর্ণের দাম

নিটল ইন্স্যুরেন্সের সিইও এস এম মাহবুবুল করিম জানান, বর্তমানে আমাদের দেশে আমদানির ক্ষেত্রে মেরিন বীমা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ফায়ারের (আগুন) ক্ষেত্রে তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। বর্তমানে আইডিআরএ সরকারি নানা ভবন বীমার অধীনে আনার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার ফলে আমাদের সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বৃদ্ধি পাবে। তবে এর ফলে বেশি ব্যবসা বাড়বে সাধারণ বীমা করপোরেশনের।

তিনি আরও বলেন, সরকারি ভবন বীমার অধীনে আসলে, তখন বিভিন্ন বেসরকারি ভবন মালিকও বীমা করতে আগ্রহী হবেন। তবেবেসরকারি ভবন বীমার অধীনে না এলেও শুধু সরকারি ভবনের কারণেই বীমা কোম্পানিগুলো বড় ধরনের লাভবান হতে পারবে। কারণ সাধারণ বীমা করপোরেশন যে পলিসি পাবে, তার ৫০ শতাংশ বেসরকারি খাতে ভাগ করে দেবে। আর সরকারি বহু বড় বড় ভবন রয়েছে। ফলে সরকারি ভবন বীমার অধীনে চলে এলে সাধারণ বীমা খাতের ব্যবসা অনেক বৃদ্ধি পাবে।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন