চলতি বছর মহামারি করোনার কারণে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে তেজগাঁওয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সশস্ত্র বাহিনীর সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজ স্থগিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে অনুশাসন দিয়েছেন।
জানা গেছে, বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ২য় ভার্চুয়াল বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। এই বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সভাপতিত্ব করেন।
ওই কার্যপত্রে জানানো হয়, বিজয় দিবস সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের ১ম বৈঠকে একটি বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কর্মসূচি উপস্থাপন করা হলে করোনার ঝুঁকি থাকায় বড় ধরনের জনসমাগম এড়াতে চলতি বছর জাতীয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় বলে তিনি সদয় অনুশাসন দিয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য কর্মসূচিগুলো সীমিত আকারে করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।
এজন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করে সীমিত আকারে একটি কর্মসূচি প্রণয়ন করার জন্য দ্বিতীয় সভা আহ্বান করা হয়।
প্রতি বছর বিজয় দিবসে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত সম্মিলিত সামরিক কুচকাওয়াজে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগ দেন। কুচকাওয়াজের অংশ হিসেবে সালাম গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি। এ সময় উপস্থিত থাকেন প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, ৩ বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, কূটনৈতিক ও আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা উপস্থিত থাকেন।
বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সবচেয়ে আকর্ষনীয় হচ্ছে বিমানবাহিনীর অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে। মুক্তিযু্দ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছেচলতি বছর বিজয় দিবসে ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ঢাকা ও দেশের সকল জেলা উপজেলায় ৩১ বার তোপধ্বনি হবে। সাথে সাথে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
পর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্য, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধারা সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের স্বাধীনতা স্তম্ভ ও ভূগর্ভস্থ জাদুঘরে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যভিত্তিক পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পসংখ্যক দর্শনার্থীকে সেখানে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে।
এছাড়া বিজয় দিবস উপলক্ষে ভার্চুয়ালি ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা হবে বলেও জানা গেছে।
আনন্দবাজার/এইচ এস কে