শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঊর্ধ্বমুখী সাদা মটরের দাম

সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়ে চলেছে ডালজাতীয় ভোগ্যপণ্য সাদা মটরের দাম। ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ সাদা মটরের দাম বেড়ে ১১০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করছেন আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দর বৃদ্ধি ও দেশীয় বাজার থেকে ভারতে পণ্য পাচার হওয়ার কারণে বাজারে পণ্যটির দাম বেড়ে চলেছে।

খাতুনগঞ্জের ডালের আড়তে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মটরের বর্তমান বাজারদর গত সপ্তাহ থেকে অধিকতর। এখন প্রতি মণ সাদা মটর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৪৪ টাকা দরে। যেখানে গত সপ্তাহের শেষদিকে কানাডা থেকে আমদানীকৃত এ মটর বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৯৩৩ টাকায়। সে হিসাব অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে পণ্যটির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মণে প্রায় ১১০ টাকা। এছাড়া গত সপ্তাহে রাশিয়া থেকে আমদানীকৃত প্রতি মণ সাদা মটর বিক্রি হয়েছে ৮৯৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি ১১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এখন একই মানের সাদা মটর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭ টাকায়।

বাজারদর অনুযায়ী, কানাডার প্রতি কেজি সাদা মটর বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ২৮ টাকায়; যা গত সপ্তাহের শেষদিকে সর্বোচ্চ ২৫ টাকায় বিক্রি হতো। সে হিসাবে এক সপ্তাহেই বাজারে পণ্যটির দাম কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। একইভাবে রাশিয়ার মসুরের দামও কেজিতে ৩ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে কেজিপ্রতি রাশিয়ার মসুর বিক্রি হচ্ছে ২৭ টাকায়; যা এক সপ্তাহ আগেও ২৪ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  রোজার কারণে ২০ টাকার কাঁচামরিচ একলাফে ১২০

খাতুনগঞ্জের ডাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সাথে দেশীয় বাজারেও সাদা মটরের দাম স্থির ছিল। দাম কম থাকায় বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের অনেক বাড়তি মজুদ রয়েছে। এরপরও গত সপ্তাহের শুরু থেকে হঠাৎ করেই পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বাজারের কয়েকজন আমদানিকারক কারসাজি করে পণ্যটির দাম বাড়াচ্ছে। তাদের মতে, বাজারে সাড়ে ২৭ থেকে ২৮ টাকা দরে সাদা মটর বিক্রি হলেও তা আমদানিতে  খরচ হয়েছে সর্বোচ্চ কেজিপ্রতি ২০ টাকা। বাড়তি মজুদ থাকার পরও আমদানিকারকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। একচেটিয়া ব্যবসা করে অধিক মুনাফার জন্য আমদানিকারকরা এ কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, খাতুনগঞ্জ বাজারে চাল ও গমের পরই সাদা মটরের চাহিদা রয়েছে। প্রতিদিন এ বাজারে গড়ে প্রায় ৮০০ থেকে ১ হাজার টন মটর বিক্রি হয়। তবে রমজান ও বর্ষা মৌসুম এলে বিক্রি হয় প্রায় দুই হাজার টন।

আনন্দবাজার/শাহী

সংবাদটি শেয়ার করুন