২০৩২ সালের মধ্যে বিশ্বের বড় ২৫টি অর্থনীতির দেশের একটি হবে বাংলাদেশ। তখন বাংলাদেশ হবে ২৪ তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী বাংলাদেশী প্রবাসীরা সরাসরি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন। তাই বৈধ পথে প্রবাসীরা যত খুশি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়ানোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই শতাংশ প্রণোদনার মূল লক্ষ্য। লন্ডনে রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের পরিমাণ প্রতি ট্রানজেকশনে এক হাজার ৫০০ ডলারের বেশি না হলে যুক্তরাজ্যে বা বাংলাদেশে কেউ কোনো প্রশ্ন তুলবে না। বরং প্রেরিত রেমিট্যান্সের ওপর দুই শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। উক্ত অনুষ্ঠানে ২০টিরও বেশি রেমিট্যান্স প্রেরণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার ‘ইনসেন্টিভাইজিং রেমিট্যান্সেস ফ্রম দ্য ইউকে: মাইলস্টোন ইনিশিয়েটিভস অব প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। গতকাল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রবাসীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীদের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিভিন্ন বন্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের বিনিয়োগে সুযোগ রযেছে। আগামী মাসে লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে বাংলা টাকা বন্ড চালু করা হচ্ছে, যা প্রবাসীদের বিনিয়োগের একটি বড় ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রায় ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০টি অঞ্চলের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবাসীরা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার পাশাপাশি লাভবান হতে পারেন।
তিনি বলেন, বিদেশিদেরও বিনিয়োগের জন্য আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশে। ডুয়িং বিজনেস সূচক-২০২০ এ বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে, এবার বাংলাদেশ আট ধাপ এগিয়েছে। এ সূচকে সবচেয়ে ভালো করা ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে রেমিট্যান্স হাউজের প্রতিনিধিরা অংশ নিয়ে প্রবাস-আয়ের ওপর প্রণোদনা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
আনন্দবাজার/ইউএসএস